RCTV Logo আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৪ অপরাহ্ন

বিশ্বজুড়ে সাইবার অপরাধের আশঙ্কা: জাতিসংঘ

ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে সাইবার স্ক্যাম বা কেলেঙ্কারির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই স্ক্যাম ছড়াতে পারে আফ্রিকা এবং ইউরোপে।

সোমবার জাতিসংঘ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, এশিয়ায় একটি কয়েক বিলিয়ন ডলারের স্ক্যাম সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। রীতিমতো পরিকল্পনা করে তারা সাইবার অপরাধ সংগঠিত করছে। গোটা এশিয়াজুড়ে এই চক্র সক্রিয়। এবার তারা আফ্রিকা, ইউরোপ এবং অ্যামেরিকাতেও জাল বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে এই চক্র এখন সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। রিপোর্ট বলছে, চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিকগ্যাং এই অপরাধ সংগঠিত করছে। তারা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে এই অপরাধের জাল ছড়াচ্ছে। অনেক সময় তারা ভালোবাসার জাল ছড়াচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে নারীদের। তাদের মাধ্যমে সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে বহু মানুষকে।

জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই অপরাধচক্রে জোড়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ পাচার হওয়া ব্যক্তিদের। যাদের বাধ্য করা হচ্ছে সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হতে।

জাতিসংঘের ড্রাগ এবং ক্রাইম সংস্থা ইউএনওডিসি’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কার্যকরী প্রতিনিধি বেনেডিক্ট হফম্যান জানিয়েছেন, প্যাসিফিক আইল্যান্ড বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ক্যানসারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে এই ধরনের অপরাধ। প্রশাসন বিভিন্ন সময় রেড করে। অনেকে ধরা পড়ে। কিন্তু আবার অন্যত্র নতুন গ্যাং গজিয়ে ওঠে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই অপরাধ এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দানা বেঁধেছে মিয়ানমারের সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে। সেখানে গৃহযুদ্ধ চলায় প্রশাসনের পক্ষেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেই সুযোগ নিচ্ছে অপরাধী গ্যাং-গুলো। অন্যদিকে লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যেও ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে এই ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপ।

হফম্যানের বক্তব্য, শুধমাত্র ২০২৩ সালে সাইবার অপরাধে মানুষ তিন হবাজার ৭০০ কোটি ডলার খুইয়েছে। শুধুমাত্র আমেরিকাতেই মানুষ হারিয়েছে ৫৬০ কোটি ডলার।

এই চক্রের সঙ্গে লড়াই করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন তৈরি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বেজিং সম্প্রতি মিয়ানমারে একটি অভিযান চালিয়েছিল। সেখানে বেশ কয়েকটি গ্যাংয়ের অফিসে রেড করা হয়। প্রায় সাত হাজার কর্মীকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যারা প্রায় ৫০টি দেশের মানুষ। বিভিন্নভাবে পাচার হয়ে তারা মিয়ানমার পৌঁছায় এবং তাদের এই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে বাধ্য করা হয়।

কাম্বোডিয়াতেও সম্প্রতি অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানেও এমন বহু গ্যাং কাজ করছে। বস্তুত, সেখানে সরকারও লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে।

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়াকে নিয়ে সারজিস আলমের ফেসবুক  স্টাটাস

১০ দিনের ছুটি পাচ্ছেন ঈদুল আজহায়

গবেষণার চমকপ্রদ তথ্য: হার্ট বুড়ো হচ্ছে দ্রুত, সতর্ক হোন!

একাধিক বিস্ফোরণে কাঁপল সুদানের পোর্ট সুদান, ড্রোন হামলায় ভয়াবহ আগুন

পাকিস্তান সফর শেষে এবার ভারত যাচ্ছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

গাজায় তীব্র সামরিক অভিযানের ঘোষণা নেতানিয়াহুর, সরানো হবে ফিলিস্তিনিদের

গরমে চুল পড়া বাড়ছে? জেনে নিন কোন ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন

পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

চার মাস পর দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া

মার্কিন সামরিক বাহিনীর ৩০ শতাংশ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ছাঁটাইয়ের ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের

১০

পুলিৎজার পেলেন ফিলিস্তিনি লেখক মোসাব আবু তোহা

১১

ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলল পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদে

১২

আরও ৪ মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময় দাস

১৩

নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য আসছে নতুন বিধিমালা

১৪

একই দিনে ইয়েমেন, লেবানন, সিরিয়া ও গাজায় হামলা চালাল ইসরায়েল

১৫

মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা দিলো এনসিপি

১৬

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে দুটি হেডকোয়ার্টার স্থাপনের পরিকল্পনা বিএসএফ’র

১৭

দুই পুত্রবধূকে নিয়ে ‘ফিরোজার’ পথে খালেদা জিয়া

১৮

দোহায় যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকার পথে খালেদা জিয়া

১৯

এনআইডি সংশোধনে জোরদার নজরদারি: ১৫ দিনে একবার প্রতিবেদন দেবেন কর্মকর্তারা

২০