বৈশাখ মাসের শুরুতেই তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ সময় শরীরে পানিশূন্যতা, হজমের সমস্যা ও ক্লান্তি দেখা দেওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে প্রাকৃতিক এবং নিরাপদ সমাধান হিসেবে ইসবগুলের ভুসি অত্যন্ত কার্যকর।
পানিশূন্যতা প্রতিরোধে ইসবগুল বিশেষভাবে উপকারী। এটি পানির সঙ্গে মিশে অন্ত্রে জেলের মতো একটি স্তর তৈরি করে, যা শরীরে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে। দীর্ঘক্ষণ হাইড্রেটেড থাকতে চাইলে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি বা লেবুর রসে ১-২ চা চামচ ইসবগুল মিশিয়ে পান করুন।
তীব্র গরমে হজমের গতিও অনেক সময় ধীর হয়ে যায়, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও অস্বস্তি দেখা দেয়। ইসবগুল একটি প্রাকৃতিক ফাইবার হিসেবে অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, মল নরম করে ও পরিপাকতন্ত্রকে সচল রাখে। ক্ষুধা কম থাকলেও এটি হজমশক্তি ঠিক রাখে।
অনেকেই গরমকালে মশলাদার ও তেলেভাজা খাবারের কারণে অম্বল ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সে ভোগেন। ইসবগুল পাকস্থলীতে একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, অ্যাসিড নিঃসরণ কমায় এবং পেটে জ্বালাভাব ও অস্বস্তি থেকে মুক্তি দেয়। এক গ্লাস ঠান্ডা দুধে এক চামচ ইসবগুল মিশিয়ে খেলে তা দ্রুত আরাম দেয়।
ইসবগুল শরীরকে অভ্যন্তরীণভাবে ঠান্ডা রাখে, যা গরমের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এছাড়া, এটি পেটে ফোলাভাব তৈরি করে, ফলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি মনে হয়। এতে করে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস ও উচ্চ কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্যও ইসবগুল উপকারী। এটি রক্তে শর্করার শোষণ ধীর করে দেয়, যার ফলে গ্লুকোজ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে। বিশেষ করে রোজার সময় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে পারে। পাশাপাশি এটি অন্ত্র পরিষ্কার করে, শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিয়ে ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে।
তবে মনে রাখতে হবে, ইসবগুল খাওয়ার সময় অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে, না হলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
তথ্যসূত্র: সামা টিভি
মন্তব্য করুন