অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের নতুন করে শুরু হওয়া সামরিক অভিযানে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেঙে নতুন করে অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। এরপর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ গাজাবাসীকে আবারও বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে।
এদিকে চলমান অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনিদের মানবিক দুর্দশা এবং ব্যাপক বাস্তুচ্যুতির বিষয়টি স্বীকার করেছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। তবে তিনি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, এই পরিস্থিতির শিগগিরই পরিবর্তন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এক বিবৃতিতে কাটজ বলেন, “ইসরাইলের নীতি স্পষ্ট—গাজায় যদি মানবিক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে হামাস সেই ত্রাণের সুযোগ নিয়ে গাজার জনগণকে আবারও তাদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে। আমরা তা মেনে নিতে পারি না।”
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৫ মাসের যুদ্ধের পর গত ১৯ জানুয়ারি কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের মধ্যস্থতায় একটি তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছিল। প্রথম ধাপে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-বন্দি বিনিময় শুরু হওয়ার কথা ছিল, দ্বিতীয় ধাপে এই প্রক্রিয়ার সমাপ্তি ও গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং তৃতীয় ধাপে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠন।
তবে চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে না গিয়েই গত ১৮ মার্চ ইসরাইল ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ অভিযানে এখন পর্যন্ত দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে ইসরাইলি বাহিনী খাদ্য, ওষুধসহ জরুরি ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকেও গাজায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না, ফলে মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে।
মন্তব্য করুন