বাংলাদেশের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে শাংগ্রি-লা হোটেলে থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় এই সাক্ষাতে অধ্যাপক ইউনূস শুরুতেই থাকসিনের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং উষ্ণ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
২০০১ সালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই থাকসিন বাংলাদেশ সফর করেন এবং গ্রামীণ ব্যাংক পরিদর্শন করেন। ওই সফরের অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি বাংলাদেশে ইউনূসের মাইক্রোক্রেডিট মডেলে অনুপ্রাণিত হয়ে থাইল্যান্ডে একটি জাতীয় ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি চালু করেন। সে বছরেরই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতে দুই নেতা চিয়াং মাই ও চট্টগ্রামের মধ্যকার সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় চালুর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। থাকসিন স্মরণ করেন, ফ্লাইটটি চালুর সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তাঁর সঙ্গে একসঙ্গে ভ্রমণ করেছিলেন, যা দুই দেশের ভ্রমণ দূরত্ব মাত্র এক ঘণ্টায় সীমিত করেছিল।
তারা আঞ্চলিক বাণিজ্য, সামাজিক ব্যবসার প্রসার এবং থাইল্যান্ডের গ্রামীণ অঞ্চলে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি সম্প্রসারণ নিয়েও আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড সম্পর্ক জোরদারে থাকসিনের অতীত ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশকে আসিয়ান (ASEAN) জোটে অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টায় তাঁর সমর্থন কামনা করেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, থাইল্যান্ডের সহযোগিতায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আরও দৃঢ় হবে এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি হবে।
সাক্ষাতে বাংলাদেশ সরকারের এসডিজি (SDG) বিষয়ক সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন