মিয়ানমারে ইতিহাসের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ৭.৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২,৩৭৬ জন আহত এবং ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকারের বরাত দিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, রাজধানী নেপিদো, মান্দালয়, সাগাইংসহ বিভিন্ন শহর ও গ্রামে চলমান উদ্ধার অভিযানে এ পর্যন্ত ১,০০২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ২,৩৭৬ জনকে, আর ৩০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার নেপিদোর এক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে আহতদের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। আহতদের অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে গাড়ি ও পিকআপে করে হাসপাতালে পৌঁছান। তাদের অনেকের শরীরে ধুলো ও রক্ত লেগে ছিল।
ভূমিকম্পের ফলে হাসপাতাল, রাস্তা ও অন্যান্য অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ব্যাপকভাবে ভেঙে পড়েছে, এমনকি প্রবেশপথে একটি গাড়িও চাপা পড়ে আছে।
এএফপিকে এক হাসপাতাল কর্মকর্তা জানান, ‘অনেক আহত মানুষ আসছেন। আমি আগে কখনও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হইনি। আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি, কিন্তু আমি খুব ক্লান্ত।’
মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং আহতদের দেখতে হাসপাতালে পরিদর্শন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি সাগাইংয়ের উত্তর-পশ্চিমে, নেপিদো থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭.৭ এবং এটি ১০ কিলোমিটার গভীরতায় সংঘটিত হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল মান্দালয়ের ১৭ কিলোমিটার দূরে।
মান্দালয় শহর, যা মিয়ানমারের প্রাচীন রাজকীয় রাজধানী ও বৌদ্ধ সংস্কৃতির কেন্দ্র, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরটির জনসংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে বহু ভবন, সেতু ও রাস্তাঘাট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন