ঈদের দিনে পরিচ্ছন্নতা ও সুন্দর পোশাক পরা সুন্নত। নবী করিম (সা.) ঈদের দিন উত্তম পোশাক পরিধান করতেন এবং সাহাবিরাও তাদের সেরা পোশাক পরতেন। তবে নতুন পোশাক পরা বাধ্যতামূলক নয়, বরং বিদ্যমান কাপড়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ও পরিষ্কার কাপড় পরাই মুস্তাহাব।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) দুই ঈদে উত্তম পোশাক পরতেন। (সুনানে কুবরা, বায়হাকি: ৬১৪৩)
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাকে যেহেতু সম্পদ দান করা হয়েছে, তাই আল্লাহর এই অনুগ্রহের নিদর্শন তোমার মধ্যে প্রকাশ পাওয়া প্রয়োজন।’ (নাসায়ি শরিফ: ৫৩০৯)
ইমাম তহাভি (রহ.) লিখেছেন, ঈদের সকালে কয়েকটি কাজ মুস্তাহাব:
গোসল করা
মিসওয়াক করা
সুগন্ধি ব্যবহার করা
সদকাতুল ফিতর আদায় করা
ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে কিছু খেয়ে নেওয়া
বিদ্যমান পোশাকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরটি পরিধান করা (শারহু মুখতাসারুত তাহাবি ২/১৪৯)
নতুন পোশাক পরার অনুমতি আছে, তবে এটি সুন্নাত নয়।
সাহাবিরা ঈদের দিনে তাদের সেরা পোশাক পরতেন, তবে নতুন কেনার কথা পাওয়া যায় না।
ঈদ উপলক্ষে মার্কেটে যাওয়া বা নতুন পোশাক কেনা নিষিদ্ধ নয়, তবে তা অপচয় ও অতিরিক্ত ব্যয়ের মধ্যে পড়লে ইসলাম তা নিরুৎসাহিত করে।
শরিয়তের নির্দেশনা হলো অপচয় না করা এবং সাধ্যের মধ্যে থাকা।
নতুন পোশাক কিনতে হলে সেটিকে সুন্নাত বা বাধ্যতামূলক মনে করা যাবে না।
যারা সামর্থ্যবান তারা কিনতে পারেন, তবে অন্যদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা উচিত নয়।
নতুন পোশাক না কিনলেও পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ও ভালো পোশাক পরিধান করাই ইসলামের মূল শিক্ষা।
অপচয় ও অতিরিক্ত ব্যয় থেকে বিরত থাকা উচিত।
ঈদের আনন্দ প্রকাশ করা ইসলামসম্মত, তবে সেটি যেন অপচয় ও অতিরিক্ত খরচে পরিণত না হয়। নতুন পোশাক পরা বাধ্যতামূলক নয়, বরং পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর পোশাক পরাই ইসলামের মূল শিক্ষা।
মন্তব্য করুন