ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এই আগ্রাসনকে “অত্যন্ত বড় অপরাধ ও বিপর্যয়কর ঘটনা” বলে অভিহিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার তেহরানে ফার্সি নববর্ষ ১৪০৪ উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে খামেনি বলেন:
“এটি শুধুমাত্র ফিলিস্তিনের সমস্যা নয়, বরং গোটা মুসলিম উম্মাহর বিষয়। মতভেদ ভুলে পুরো উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপরাধযজ্ঞের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। শুধু মুসলিম দেশ নয়, ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের সকল মুক্তিকামী মানুষেরও উচিত এই বিশ্বাসঘাতকতামূলক আগ্রাসন প্রতিরোধ করা। যাতে শিশু-হত্যা, ঘরবাড়ি ধ্বংস ও ফিলিস্তিনি জনগণের শরণার্থী হওয়া বন্ধ করা যায়।
খামেনি তার ভাষণে বলেন, গত বছর ইরান ও মুসলিম বিশ্ব বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হারিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন:
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট রাইসির জানাজায় ইরানি জনগণের বিশাল জনসমাগম আবারও প্রমাণ করেছে যে, এ ধরনের শোকাবহ ঘটনা ইরানিদের মনোবল ভাঙতে পারে না।
খামেনি দেশের চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করে বলেন:
“বছরের শেষার্ধে ইরানি জনগণ কঠিন সময় পার করেছে, তবে তাদের অসাধারণ মানসিক দৃঢ়তা ও ঐক্য সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।”
খামেনি বলেন, লেবানন ও ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগণ যখন ইসরাইলি আগ্রাসনের শিকার হয়েছে, তখন ইরানি জনগণ সহমর্মিতা ও উদারতা দেখিয়েছে। তিনি বলেন:
“বিপুল জনসমর্থন ও সহায়তা প্রমাণ করে যে, ইরানি জাতি ইসলামি সংহতি ও মানবিক প্রচেষ্টার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সূত্র: ইরনা
মন্তব্য করুন