লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের অসাধারণ পারফরম্যান্সে ইন্টার মায়ামি মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্পোর্টিং কানসাস সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের শেষ ষোলোতে উত্তীর্ণ হয়েছে। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে জয় পেয়ে মেজর লিগ সকারের চ্যাম্পিয়নরা তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে।
ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকেই ইন্টার মায়ামির আধিপত্য চোখে পড়ার মতো ছিল। ১৭তম মিনিটে মেসির চোখ ধাঁধানো গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিক দল। সুয়ারেজের কাছ থেকে বল পেয়ে মেসি তা অনায়াসে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জালে ঝড় তোলেন। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে জর্দি আলবার নিখুঁত পাস থেকে গোল করেন টাদেও আলেন্দে।
দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র দুই মিনিট পর স্পোর্টিং কানসাস সিটির জ্যাকব ডেভিসের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসাধারণ গোল করেন সুয়ারেজ। ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে ইন্টার মায়ামি ম্যাচের ভাগ্য কার্যত নির্ধারণ করে দেয়।
এই জয়ের মাধ্যমে ইন্টার মায়ামি শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হবে জ্যামাইকান ক্লাব ক্যাভালিয়ার। আগামী ৬ মার্চ মায়ামির হোম গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচ।
ইন্টার মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানো দলের পারফরম্যান্সে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে সুয়ারেজের গোল পাওয়াকে দলের জন্য ইতিবাচক দিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। মাশ্চেরানো বলেন, ‘একজন স্ট্রাইকারের জন্য গোল পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুয়ারেজ শুধু গোলই করছেন না, দলের রক্ষণ ও সামগ্রিক সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।’
মেসিও ছিলেন দারুণ ফর্মে। ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠ ছাড়েন। এর আগে প্রথম লেগ ও এমএলএস মৌসুমের উদ্বোধনী ম্যাচে তিনি পুরো সময় খেলেছিলেন।
ম্যাচের আগে চেজ স্টেডিয়ামে প্রদর্শিত হয় ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি। আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে ৩২ দলের এই প্রতিযোগিতা, যেখানে ইন্টার মায়ামি, রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির মতো ইউরোপিয়ান জায়ান্টরা অংশ নেবে।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের চিফ টুর্নামেন্ট অফিসার মানোলো জুবিরিয়া বলেন, ‘ট্রফিটি এখানে নিয়ে আসা আমাদের জন্য সম্মানের। ইন্টার মায়ামিই প্রথম দল হিসেবে এটিকে যুক্তরাষ্ট্রে এনেছে, যা একটি বড় অর্জন।’
ইন্টার মায়ামি তাদের ক্লাব বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে ১৪ জুন, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হবে মিশরের জায়ান্ট আল আহলি। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে হার্ড রক স্টেডিয়ামে, যা এনএফএল ক্লাব মায়ামি ডলফিনসের হোম গ্রাউন্ড হিসেবেও পরিচিত।
মেসি ও সুয়ারেজের যুগলবন্দি ইতোমধ্যে ইন্টার মায়ামিকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এবারের লক্ষ্য শুধু কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ নয়, বরং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দেওয়া। এখন দেখার বিষয়, এই তারকাবহুল দল কতদূর যেতে পারে।
মন্তব্য করুন