পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গাছ কাটা যাবে না। তিনি আরও বলেন, আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাসের পরিবর্তে দেশীয় গাছ লাগাতে হবে।
আজ রংপুর সার্কিট হাউজে বন অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার সময় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সামাজিক বনায়নের গাছ রক্ষা করতে হবে। সামাজিক বনায়নের সুবিধাভোগীরা গাছ বিক্রির লভ্যাংশের পরিবর্তে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে সমপরিমাণ অর্থ পাবেন।
উপদেষ্টা আরো বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যকর সমন্বয় জরুরি। বন ধ্বংস, দূষণ ও পানি সংকট মোকাবিলায় এককভাবে কাজ করা সম্ভব নয়। খরা, বন্যা ও নদীভাঙন মোকাবিলায় জলাধার সংরক্ষণ, বন পুনঃস্থাপন ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি তুলে ধরেন।
তিনি পাথর ভাঙা রোধ এবং অবৈধ ইটভাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি, বাধের পাশে আরও দেশীয় গাছ লাগাতে এবং স্থানীয় জনগণকে এতে সম্পৃক্ত করতে বলেন।
সভায় বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা তাদের কার্যক্রম ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। তারা জানান, রংপুর অঞ্চলে বন উজাড়, শিল্প ও কৃষি দূষণ এবং পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম তাহমিদুল ইসলাম, বগুড়া সামাজিক বন সার্কেলের বন সংরক্ষক মুহাম্মদ সুবেদার ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান এবং পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক এ কে এম রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন