গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তর করার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। তেহরান স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদেরই রয়েছে, বাইরের কোনো শক্তির নয়।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই মার্কিন প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন—
🛑 “গাজার ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরের মার্কিন প্রস্তাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি ফিলিস্তিনিদের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন এবং অঞ্চলটির স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।”
🛑 “ইসরাইলের আগ্রাসন এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও চলমান সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ইসলামি দেশগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।”
গাজার জনগণকে পুনর্বাসনের মার্কিন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে পাঁচটি আরব দেশও সরব হয়েছে।
🇪🇬 মিশর
🇯🇴 জর্ডান
🇦🇪 সংযুক্ত আরব আমিরাত
🇸🇦 সৌদি আরব
🇶🇦 কাতার
এই পাঁচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হন এবং গাজার জনগণকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার মার্কিন প্রস্তাবের কঠোর বিরোধিতা করেন। বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে তারা জানান—
❌ “গাজার বাসিন্দাদের জোরপূর্বক অন্য দেশে পাঠানোর যেকোনো প্রচেষ্টা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবে এবং সংঘাত আরও বাড়িয়ে তুলবে।”
বৈঠকের পর পাঁচটি আরব দেশ এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হুসেইন আল-শেখ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে একটি যৌথ চিঠি পাঠান।
🔹 এই চিঠিতে গাজার জনগণকে তাদের মাতৃভূমি থেকে সরিয়ে নেওয়ার বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে।
🔹 মার্কিন প্রশাসনকে এই পরিকল্পনা থেকে সরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় গাজা সংকট শুধুমাত্র ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং এটি আঞ্চলিক শক্তিগুলোর কৌশলগত স্বার্থের লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
🛑 ইরান ও আরব দেশগুলো একজোট হয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
🛑 ফিলিস্তিনের জনগণের স্বার্থে এই প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।
পরবর্তী সময়ে এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কী হয় এবং মধ্যপ্রাচ্যে এর কী প্রভাব পড়ে, তা এখন দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন