যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে যাত্রীবাহী একটি বিমান ও সামরিক একটি হেলিকপ্টারের মধ্যে মাঝ আকাশে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি স্থানীয় সময় বুধবার রাতে হোয়াইট হাউস থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে ঘটে। দুর্ঘটনায় বিমানের ৬৪ জন আরোহীর মধ্যে ৪ জন ক্রু সদস্যসহ অনেকেই হতাহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার মুহূর্তে বিশাল বিস্ফোরণের ফলে আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে, যা আতশবাজির মতো দৃশ্য তৈরি করে। এরপরই বিমানটি ও হেলিকপ্টারটি পার্শ্ববর্তী পোটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হয়। উদ্ধার অভিযানে এখন পর্যন্ত ১৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আমেরিকান ঈগলের ৫৩৪২ নম্বর ফ্লাইটটি ক্যানসাস থেকে ওয়াশিংটন ডিসি যাচ্ছিল, যেখানে ৬০ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। অন্যদিকে, দুর্ঘটনায় পতিত ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টারটি একটি প্রশিক্ষণ মিশনে ছিল, যাতে ৩ জন সেনা সদস্য ছিলেন।
মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অথরিটি (FAA) জানিয়েছে, রাত ৯টার দিকে বিমানটি রোনাল্ড রিগ্যান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণের সময় সিকোরোস্কি ইউএইচ-৬০ ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনার পরপরই FAA তাদের সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত করে এবং ঘটনাস্থলে জরুরি পরিষেবা ইউনিট পৌঁছে যায়। উদ্ধার অভিযানে ফায়ারবোট, ডুবুরি দল ও অগ্নিনির্বাপণ বাহিনী অংশ নিচ্ছে। গভীর রাতের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে, তবে তল্লাশি এখনো চলছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, “হেলিকপ্টারকে কেন উপযুক্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়নি? এটি প্রতিরোধযোগ্য ছিল।”
আমেরিকান এয়ারলাইনসের সিইও রবার্ট আইসম্যান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং যাত্রীদের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা জরুরি যোগাযোগ নম্বর (৮০০-৬৭৯-৮২১৫) চালু করেছে, যাতে উদ্বিগ্ন স্বজনরা খোঁজখবর নিতে পারেন।
এদিকে, মার্কিন ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (NTSB) দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন