আরসিটিভি ডেস্ক 

কেন্দ্রে গণভোট স্থগিত থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ কেন্দ্রের ফলাফলের ভিত্তিতেই ফল ঘোষণা করতে পারবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)—এমন বিধান রেখে ‘গণভোট অধ্যাদেশ-২০২৫’ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে। গতকালই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এটি অনুমোদিত হয়।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আইন উপদেষ্টা জানান, সংবিধান সংস্কারসংক্রান্ত প্রস্তাবের বিষয়ে জনগণের মতামত জানতেই গণভোট আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রবাসীসহ চার ধরনের ভোটারের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। জুলাই জাতীয় সনদে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাসহ ৩০ দফায় যে ঐকমত্য হয়েছে, তা বাস্তবায়নে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে বলেও জানান তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের জন্য যেসব ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হবে, সেখানেই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতকৃত ভোটার তালিকা গণভোটেও ব্যবহৃত হবে। জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময়ই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের সুবিধার্থে গণভোটের ব্যালট আলাদা রঙের করা হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, গণভোটে মাত্র একটি প্রশ্ন থাকবে।
ভোটারকে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে তাঁদের মতামত জানাতে হবে। জাতীয় নির্বাচনে নিয়োজিত রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসাররাই গণভোটের দায়িত্ব পালন করবেন। কোনো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হলে প্রিজাইডিং অফিসার ভোট স্থগিত করার ক্ষমতা পাবেন। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ কেন্দ্রের ফলাফল দিয়েই চূড়ান্ত ফল নির্ধারণ করতে পারবে ইসি।
তিনি আরো বলেন, কোনো কেন্দ্রে প্রিজাইডিং
অফিসার যদি দেখেন যে প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ভোট নেওয়া সম্ভব নয়, তাহলে তিনি ভোটগ্রহণ স্থগিত করতে পারবেন।
আর নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে, বাকি কেন্দ্রগুলোর ফলাফল না জেনে সামগ্রিক ফল নির্ধারণ করা যাবে না, তখনই শুধু সেই কেন্দ্রগুলোতে পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়া হবে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ধরা যাক এক হাজার কেন্দ্রের মধ্যে ২০টিতে ভোট নেওয়া যায়নি। যদি ভোট নেওয়া হয়েছে—এমন কেন্দ্রগুলোর ফলাফল থেকেই স্পষ্টভাবে গণভোটের ফল নির্ধারণ করা যায়, তাহলে বাকি ২০ কেন্দ্রে পুনরায় ভোট হবে না। তবে ইসি যদি মনে করে বাদ পড়া কেন্দ্রগুলোর ফল ছাড়া সঠিক ফল নির্ধারণ সম্ভব নয়, তখনই পুনরায় ভোটগ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে।
গণভোটের সিলে জাতীয় নির্বাচনের মতো একই সিলমোহর ব্যবহার করা হবে। প্রয়োজনীয় সব পরিপত্র ও নির্দেশনা জারি করার ক্ষমতা ইসিকেই দেওয়া হয়েছে। জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করলেও এনসিপি ৩০টি প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা। ভোট শেষে সব আনুষ্ঠানিকতাই জাতীয় নির্বাচনের নিয়মে সম্পন্ন হবে। আসিফ নজরুল আরো বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ১০৮ জন প্রবাসী ভোটার ভোট দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন বড় চ্যালেঞ্জ। তবে উৎসাহ আছে সবার। ইনশাআল্লাহ মোকাবেলা করতে পারব। গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে ব্যাপক প্রচার চলবে। দুই-তিন দিনের মধ্যেই তা দৃশ্যমান হবে। অন্ধের মতো না, যোগ্যতা অনুযায়ী প্রশাসনের পদায়নের ব্যাপারে লটারিও হয়েছে।’
আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটার তালিকা মুদ্রণ সম্পন্ন হবে : প্রেস ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটার তালিকা মুদ্রণ সম্পন্ন হবে। অন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ—যেমন লোগো, ব্যালট বাক্স, আঙুলের অমোচনীয় কালি, স্ট্যাম্প-প্যাড পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ আছে। সর্বশেষ যে স্টক হাতে এসেছে, সেটিও নিরাপদে সংরক্ষিত রয়েছে। এসব উপকরণ ধীরে ধীরে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে, যাতে শেষ মুহূর্তে চাপ সৃষ্টি না হয়। ১০টি জোনাল অফিসের মাধ্যমে উপকরণগুলো উপজেলাগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘প্রচলিত নিয়মে জাতীয় নির্বাচনের ব্যালট সাদা পৃষ্ঠার ওপর কালো প্রিন্টে ছাপা হয়। তবে গণভোটের ব্যালট আলাদা রঙের কাগজে ছাপা হবে, যাতে কালির দাগ স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। রঙিন কাগজেও যেন চিহ্ন সহজে বোঝা যায় সেই দৃশ্যমানতা নিশ্চিত করেই গণভোটের ব্যালট প্রস্তুত করা হবে। নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরাও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। সরকারি চাকরিজীবী, যাঁরা আইনি হেফাজতে আছেন ও নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন—এ চার ধরনের ব্যক্তি অ্যাপের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। দেশে পোস্টাল ব্যালটসংক্রান্ত কাজ পরে শুরু হবে, তবে বিদেশে প্রবাসীদের জন্য প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এ জন্য আটটি রিজিয়ন করা হয়েছে, যার মধ্যে তিনটি রিজিয়নে কাজ শুরু হয়েছে। নর্থ আমেরিকায় রেজিস্ট্রেশন চলছে। আমরা একের পর এক আলাদা জোনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালাচ্ছি। শনিবার মক ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর ফল অনুযায়ী ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ বাড়াতে হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
প্রবাসীদের কাছে গণভোটের ব্যালট নির্বাচনের ব্যালটের মতো একই খামে পাঠানো হবে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও চালু রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। অন্য কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে। প্রস্তুতির সব কাজ সময়মতো এবং অনলাইনের মাধ্যমে করা হচ্ছে।
যে চার প্রস্তাবে একটি প্রশ্নে গণভোট : গত ১৩ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জানান, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে গণভোট। চারটি প্রস্তাবের ওপর একটি প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ ভোট দিতে হবে ভোটারদের। প্রশ্নটি হবে—আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন? ক. নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে। খ. আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে। গ. সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে। ঘ. জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে। গণভোটের দিন এই চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে মতামত জানাতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে ওই দিন আরো জানান, গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই প্রতিনিধিরা একই সঙ্গে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। এর মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত ১৩ নভেম্বর জারি করা জুলাই সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশেও এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়।
জনমতের সঠিক প্রতিফলন না ঘটানোর আশঙ্কা : জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির পর নির্বাচন ও আইন বিশেষজ্ঞরা এই সংশয় প্রকাশ করেন যে যেভাবে গণভোটের কথা বলা হয়েছে তাতে জনমতের সঠিক প্রতিফলন ঘটবে না। তাঁরা বলেন, যে চার প্রস্তাব বা প্রশ্নে গণভোট হতে যাচ্ছে তা দেশের সাধারণ মানুষের জানা-বোঝার বাইরে। আগের গণভোটগুলো এত জটিল ছিল না। এবার চার প্রস্তাবের মধ্যে আরো অনেক বিষয় আছে এবং সেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত রয়েছে। এ অবস্থায় একটি প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ মতামত জানানো সম্ভব নয়। এ ছাড়া ভোটারদের এ বিষয়ে সচেতন করতে হলে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া যে নজিরবিহীনভাবে এই আদেশ জারি করা হয়েছে, তাতে ভবিষ্যতে বিষয়টি আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে।
গত ১৪ নভেম্বর সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য বেগম জেসমিন টুলি কালের কণ্ঠের কাছে এমন সংশয়ের কথা প্রকাশ করেন।
শনিবার আধাবেলা ‘মক ভোটিং’ : একই সঙ্গে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করার সুবিধা-অসুবিধা বুঝতে আগামী শনিবার ‘মক ভোটিং’ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল ইসির জনসংযোগ পরিচালক রুহুল আমিন মল্লিক বলেন, ২৯ নভেম্বর সব ধরনের ভোটারের প্রতিনিধিদের নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলানগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোটের এ মহড়া চলবে। এতে ভোটার সংখ্যা থাকবে দেড় হাজারের কাছাকাছি। সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের ব্যালট পেপারের নমুনা নিয়ে এ ভোটের মহড়া হবে।
তিনি আরো বলেন, দুটি ভোট দিতে কেমন সময় লাগে, কী ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকবে তা বুঝতেই এই মক ভোটিং। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, ইসির সমন্বয় সেল, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকসহ সব ধরনের ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে এই মক ভোটিং পর্যবেক্ষণ করবে ইসি।
নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক মো. হাসানুজ্জামান জানান, আধাবেলা মক ভোটিংয়ের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইটিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহায়তা, মোবাইল নম্বর, নাম, এনআইডি নিয়ে আলাদা ভোটার তালিকা হবে। যাঁরা প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছেন এমন ভোটার, প্রতিবন্ধী ভোটার, বয়োজ্যেষ্ঠ (সিনিয়র সিটিজেন) ভোটার, নারী ও পুরুষ মিলিয়ে বস্তিবাসী ভোটার এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারদেরও এই মক ভোটিংয়ে অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গণভোটের জন্য পিংক ও সংসদ নির্বাচনের জন্য সাদা কালারের ব্যালট পেপার রাখা হবে। সংসদ ভোটের প্রতীক থাকবে দলগুলোর বাইরে অতিরিক্ত তালিকা থেকে। নারী ভোটারদের জন্য আলদা ভোটকক্ষ রেখে ভোটকেন্দ্র ব্যবস্থাপনায় বেষ্টনী তৈরি করা হবে।
এদিকে অধ্যাদেশে ব্যালট বাক্স সম্পর্কে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত, নির্ধারিত এবং সরবরাহকৃত ব্যালট বাক্স ভোটগ্রহণের জন্য ব্যবহার করতে হবে। তবে কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সরবরাহকৃত একই ব্যালট বাক্স গণভোটের ব্যালট বাক্স হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করতে পারবে।
মন্তব্য করুন