ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এবার মুখোমুখি হয়েছিল উপমহাদেশের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক এতটাই শীতল যে এই দ্বৈরথ আয়োজনের বিপক্ষে জনমত গড়ে উঠেছে ভারতে। ম্যাচটি বয়কটের ডাক দেন অনেকে। সে কারণেই কি না, গতকালের ‘মহারণে’ দুবাইয়ের গ্যালারি ভরেনি।ম্যাচও জমেনি। যথারীতি ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়েই পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।
ম্যাচের ভাগ্য অবশ্য অনেকটা নির্ধারিত হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংসের পর। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে মাত্র ১২৭ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
যদিও বোলিংয়ে ভালো শুরু পায় তারা। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ২২ রানে শুভমান গিলের উইকেট তুলে নেন সায়েম আইয়ুব। স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে এই ওপেনার ফেরেন ১০ রান করে। এরপর পাকিস্তানের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরানোর আভাস দিয়ে আউট হন আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা।
১৩ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ রান করেন অভিষেক। অভিষেকের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ভারত। তিলক ভার্মাকে নিয়ে ৫৬ রান যোগ করেন সূর্যকুমার যাদব। সায়েমের বলে তিলক ৩১ রান করে আউট হয়ে গেলেও ম্যাচের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন সূর্যকুমার। ভারত অধিনায়ক অপরাজিত থাকেন ৪৭ রান করে।
এর আগে পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। শুরুটা সায়েমকে দিয়ে। ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যর্থতার পর ওমানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ফিরেছিলেন শূন্য রানে। ভারতের বিপক্ষে মহারণেও তিনি আউট হয়েছেন রানের খাতা খোলার আগে। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে জসপ্রিত বুমরাহর হাতে ক্যাচ দেন সায়েম। আগের ম্যাচে ফিফটি করা মোহাম্মদ হারিসের ব্যাটও হাসেনি। বুমরাহর বলে ৩ রান করে তিনি ফেরেন পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে। দলীয় ৬ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন শাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান। পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪২ রান।
অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে অক্ষর প্যাটেলের বলে ফখর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ইনিংসে ধস নামে। ফখর আউট হন ১৭ রান করে। এরপর দ্রুতই ফেরেন অধিনায়ক সালমান আগা (৩), হাসান নাওয়াজ (৫) ও মোহাম্মদ নাওয়াজ (০)। আসা-যাওয়ার মিছিলে এক পর্যায়ে ৮৩ রানে ৭ উইকেট হারায় পাকিস্তান। সপ্তম ব্যাটার হিসেবে আউট হন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান করা শাহিবজাদা। এখান থেকে পাকিস্তানের স্কোর ১০০ ছাড়ায় শাহিন শাহ আফ্রিদির কল্যাণে। ৯ নাম্বার ব্যাটার হিসেবে নেমে ১৬ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন শাহিন শাহ। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি ছক্কার মারে। ভারতের পক্ষে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। দুটি করে উইকেট নেন বুমরাহ ও অক্ষর। বোলিংয়ের দাপট ব্যাটিংয়েও বজায় রেখে সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।
মন্তব্য করুন