রাজশাহীতে ছুটির দিনে ফুটপাত ঘিরে জমে উঠছে বিশেষ বাজার। শুক্রবার ও ছুটির দিনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের সাহেববাজার, রানীবাজার, বিনোদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতে বসে যায় দোকান। এসব বাজারে কম দামে কেনাকাটার সুযোগ থাকায় নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন।
শুক্রবার রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, হাজারো মানুষ ভিড় করছেন ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানে। পোশাক, শিশুদের খেলনা, জুতা, প্লাস্টিক সামগ্রী, গৃহস্থালি পণ্য, কসমেটিকস, ইলেকট্রনিক্সের ছোটখাটো জিনিসপত্র সবই পাওয়া যাচ্ছে বাজার দরের তুলনায় তুলনামূলক কম দামে।
রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী মাহফুজ আলম বলেন, শুক্রবার বাজার অনেক জমজমাট থাকে। এখানে দামের দিক থেকে অনেকটা সাশ্রয়ী হওয়ায় আমি এখান থেকে টি-শার্ট কিনতে এসেছি। যেখানে মার্কেটে ৩০০-৪০০ টাকা লাগে, ফুটপাতে তা ২০০-২৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
ক্রেতা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সাহেববাজারের ফুটপাতের বাজার দিন দিন আরও জমে উঠছে। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য এটি অনেক বড় সহায়তা। তারা স্বল্প আয়ে পরিবারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে।
বাজারে আসা গৃহিণী রুখসানা খাতুন বলেন, আমাদের মতো গৃহিণীদের জন্য এই ফুটপাতের বাজার আশীর্বাদ। এখানে একসাথে কাপড় রান্নাঘরের সরঞ্জাম, এমনকি বাচ্চাদের খেলনাও কম দামে পাওয়া যায়। এজন্য প্রায় শুক্রবারই আসি।
অন্যদিকে, ফুটপাতের দোকানদার আলামিন হসেন বলেন, আমরা সপ্তাহে দুইদিন বিশেষ করে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত বাজার সাজাই। এই দিনগুলোতে বিক্রি বেশি হয়। ক্রেতারা পণ্য সস্তায় পায়, আমরাও মোটামুটি ভালো লাভ করি।
শুধু শহর নয়, আশেপাশের উপজেলা থেকেও অনেকে আসেন এ বাজারে কেনাকাটা করতে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসা এক ক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী শহরের ফুটপাতের বাজারে জিনিসপত্র বৈচিত্র্যময়। বাজারে ঢুকলে এক জায়গাতেই অনেক কিছু পাওয়া যায়, তাই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ছুটির দিনের এই বাজার ক্রমেই মানুষের শেষ ভরসাস্থলে পরিণত হচ্ছে। তবে ফুটপাত দখল ও যানজটের কারণে সাধারণ পথচারীদের ভোগান্তিরও সৃষ্টি হয়। তবুও সাশ্রয়ী দামের কারণে ফুটপাতের বাজারে মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
মন্তব্য করুন