দুই সপ্তাহের চোট কাটিয়ে ফিরলেন লিওনেল মেসি। আর ফিরেই যেন নতুন করে মনে করিয়ে দিলেন, কেন তাকে ফুটবলের সর্বকালের সেরা বলা হয়। বদলি হিসেবে নেমে এক গোল, এক চোখধাঁধানো অ্যাসিস্ট—তাতেই ইন্টার মায়ামি পেল লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সির বিপক্ষে ৩-১ গোলের দারুণ জয়।
শনিবার ভোরে ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেলে চেজ স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমার্ধেই জর্দি আলবার গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে (৫৯’) গ্যালাক্সির জোসেফ পেইন্টসিল সমতায় ফেরান। ১-১ অবস্থায় যখন ম্যাচ শেষের পথে, তখনই জ্বলে ওঠেন ৩৮ বছর বয়সী মেসি।
৮৪তম মিনিটে মিডফিল্ড থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ-পায়ের শটে জালের নিচের কোণে বল পাঠান আর্জেন্টাইন জাদুকর। সেই গোলে মায়ামি ফের এগিয়ে যায়। আর পাঁচ মিনিট পর আবারও মেসির ম্যাজিক—রদ্রিগো দে পলের পাস দারুণ হিল-ফ্লিকে পৌঁছে দেন লুইস সুয়ারেজের কাছে, সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন তার সাবেক বার্সেলোনা-সঙ্গী।
চোট থেকে ফিরলেও মেসি একাধিকবার হ্যামস্ট্রিংয়ে হাত দেন, যা নিয়ে খানিক দুশ্চিন্তাও প্রকাশ করেছেন কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানো। ম্যাচশেষে তিনি বলেন,
‘সে পুরোপুরি স্বস্তিতে ছিল না, তবে যত মিনিট গড়িয়েছে, তত ভালো লাগছিল। কাল সকালে ওর অবস্থা কেমন থাকে সেটাই দেখার বিষয়।’
এই ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে মেসির মৌসুমে অবদান দাড়াল ৩০টিতে (১৯ গোল, ১১ অ্যাসিস্ট)। চলতি মৌসুমে গোল্ডেন বুট দৌড়েও এখন তিনি এককভাবে শীর্ষে।
অন্যদিকে, গত আসরের এমএলএস কাপ চ্যাম্পিয়ন গ্যালাক্সি এবারে পশ্চিমা কনফারেন্সের তলানিতে অবস্থান করছে।
বার্সেলোনার সাবেক তিন তারকা (আলবা, মেসি, সুয়ারেজ)-এর তিন গোলেই জয় পেল মায়ামি। আর এই জয়ে সাপোর্টার্স শিল্ড ধরে রাখার লড়াইয়েও দলটি টিকে রইল।
মন্তব্য করুন