তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে দেশের বহুদিনের প্রতীক্ষিত মহাপরিকল্পনা চলতি বছরের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে সরকার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “তিস্তা মহাপরিকল্পনা একটি দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগ। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অংশগ্রহণে এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। কাজের মাঠপর্যায়ের ধাপ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। এখন আমরা পরিকল্পনার চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার দিকে এগোচ্ছি।”
তিনি জানান, আগামী ১৭ জুলাই দেশি ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেই বৈঠকে মহাপরিকল্পনার পাঁচটি মূল দিক নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। সেখান থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালা সরকারের কাছে উপস্থাপন করা হবে।
তিনি আরও জানান, সরকারের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাওয়ার পর পুরো পরিকল্পনা অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ERD) মাধ্যমে চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। এরপর চীনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত মূল্যায়ন শেষে একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে, যা পেলে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা যাবে।
এই সময় উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, সৈয়দপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই আলম সিদ্দিকী এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা। বিমানবন্দর থেকে তিনি সড়কপথে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
তিস্তা নদীভিত্তিক এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে উত্তরাঞ্চলের কৃষি, জীববৈচিত্র্য ও মানুষের জীবনযাত্রায় উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য করুন