অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৫ বছর বয়সি এক ফিলিস্তিনি কিশোর এবং তিন ভাই রয়েছেন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানায়, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শরণার্থী শিবিরের একটি ট্রাফিক সার্কেলের কাছে একদল মানুষের ওপর ইসরাইলি ড্রোন তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এতে ছয়জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের বয়স ২৩ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের ভাই।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুতে পশ্চিম তীরের তাম্মুন শহরে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় একই পরিবারের দুই শিশু এবং ২৩ বছর বয়সি এক যুবক নিহত হন।
ঘটনাস্থল থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক হামদাহ সালহুত জানিয়েছেন, জেনিন শিবিরে এই ড্রোন হামলা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে জোরদার হওয়া অভিযানের অংশ। ওই বছর থেকে এ পর্যন্ত পশ্চিম তীরে প্রায় ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, পশ্চিম তীরজুড়ে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরাইলি সহিংসতাকে বর্তমানে ‘নীরব যুদ্ধ’ বলা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ)-এর নিরাপত্তা বাহিনীর মুখপাত্র আনোয়ার রজব বলেন, জেনিনে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের জন্য তাদের প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পিএ-এর নিরাপত্তা বাহিনী জেনিন শিবিরে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে অভিযান চালাচ্ছিল। এর মধ্যেই এই মারাত্মক ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলার ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
মন্তব্য করুন