বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন যে, লন্ডনে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক একটি বিশেষ মহলের পছন্দ হয়নি বলেই তারা নারাজ হয়ে উঠেছে।

বুধবার উত্তরায় ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ঐতিহাসিক এই বৈঠকটি ছিল জাতীয় সংকট নিরসনে একটি রাষ্ট্রনায়কোচিত পদক্ষেপ। কিন্তু যারা সংঘাত চায়, তারা এই শান্তিপূর্ণ উদ্যোগকে মেনে নিতে পারেনি।”

ফখরুল ইসলাম দাবি করেন, “সরকার যখন নির্বাচনের তারিখ নিয়ে অনড় অবস্থান নিয়েছিল, তখন ড. ইউনূসের মধ্যস্থতায় এই বৈঠকটি জাতীয় সংকট সমাধানের পথ তৈরি করেছিল। কিন্তু যারা সংঘাত ও অস্থিতিশীলতা চান, তারা এই সমঝোতাকে ধ্বংস করতে চেয়েছেন।”

তিনি তীব্র ভাষায় যোগ করেন, “একটি মহল ইচ্ছাকৃতভাবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক বর্জন করেছে। কারণ তারা জানেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের আসল চিত্র উন্মোচিত হবে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে তাদের আপত্তির মূল কারণই এটা।”

দলীয় শৃঙ্খলা বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, “আমাদের কর্মীদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে – চাঁদাবাজি, জবরদখল বা জোরজুলুমের রাজনীতি বিএনপির আদর্শ নয়। যারা এমন কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সদস্যভুক্তি প্রসঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেন, “আমরা দলে যোগদানের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকব। প্রমাণিত দুর্নীতিবাজ, মাফিয়া কিংবা দখলদারদের স্থান আমাদের দলে নেই। তবে সাধারণ ভালো মানুষদের জন্য আমাদের দলের দরজা খোলা।”

উল্লেখ্য, গত মাসে লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার সূত্রপাত করেছিল। বিএনপি নেতৃত্ব এই বৈঠককে ইতিবাচক হিসেবে মূল্যায়ন করলেও সরকারপক্ষ এটিকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে আখ্যায়িত করেছিল।