গানের ভিডিও শুটিং করতে গিয়ে নিখোঁজ হন ভারতীয় মডেল সিমি চৌধুরী। গত শনিবার ১৪ জুন শুটিংয়ের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। ওইদিন থেকে ফোন বন্ধ থাকায় কোনো খোঁজ মিলছিল না। এরপর সোমবার (১৬ জুন) ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের সোনিপাত জেলার একটি খাল থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মডেল সিমি চৌধুরীর গলায় ছিল ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন। মরদেহ উদ্বারের পর ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ২৭ বছর বয়সী মডেল শীতল, যিনি সিমি চৌধুরী নামে পরিচিত।
নিহতের বোন নেহা পুলিশকে বলেন, ‘শনিবার (১৪ জুন) রাতে ভিডিও কলে শীতল জানিয়েছিলেন যে, তিনি আহার গ্রামে একটি অ্যালবাম শুটিংয়ে গিয়েছেন। সেই সময়ই তিনি বলেন, প্রেমিক সুনীল সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে মারধর করছেন এবং জোর করে নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইছেন। কথার মাঝখানে কল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর থেকেই শীতলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।’
হত্যা কাণ্ডের ঘটনায় সিমির কথিত প্রেমিক সুনীলকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত মডেলের পরিবার দাবি, সুনীলের সাথে সম্পর্ক রাখতে চাইতেন না সিমি। সম্পর্ক রাখার জন্য সুনীল বারবার সিমিকে হুমকি দিতেন এবং শারীরিক নির্যাতন করতেন।
নিহত সিমির বোন নেহার কথায়,’শীতলের সঙ্গে সুনীলের পরিচয় হয় ছয় মাস আগে, তখন শীতল একটি হোটেলে কাজ করতেন। পরে জানা যায়, সুনীল বিবাহিত ও তার দুই সন্তান রয়েছে। এরপর শীতল হোটেল ছাড়েন এবং মডেলিংয়ে মন দেন। কিন্তু সুনীল তার পিছু ছাড়েননি।’
পুলিশ জানিয়েছে, শীতলের হাতে ও বুকে উল্কিচিত্র ছিল। এসব চিহ্ন দেখে পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি শনাক্ত করেন। মরদেহটি সোনিপাত জেলার খারখোদার রিলায়েন্স খাল থেকে উদ্ধার করা হয়।
সোনিপাতের সহকারী পুলিশ কমিশনার অজিত সিং গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শীতলের পরিবার শনিবারই (১৪ জুন) নিখোঁজ ডায়েরি করেন। যা পানিপথের উরলানা কালান পুলিশ পোস্টে নথিভুক্ত হয়। তদন্তের ধারাবাহিকতায় সোমবার খারখোদা এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহের বর্ণনার সঙ্গে মিল পাওয়ায় সেটি শীতলের দেহ বলে শনাক্ত করা হয়।’
মন্তব্য করুন