আজ বুধবার (৫ জুন) সকালে কচুর জমি থেকে এক ব্যক্তি কালিম পাখিটি শিকার করে।
পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিচার্স (তীর) গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফরিদ, প্রচার সম্পাদক মেজবাহুল হক পাখিটি উদ্ধার করে।
কালিম পাখির বৈজ্ঞানিক নাম হলো Milvus migrans। এটি এক প্রকার শিকারি পাখি, যাকে সাধারণত বাংলা ভাষায় “কালিম পাখি” বা “কালো চিল” বলা হয়। ইংরেজিতে একে Black Kite বলা হয়।
কালিম পাখি মূলত মৃত প্রাণী, পচা মাংস ও ফেলে দেওয়া খাবার খেয়ে থাকে। ফলে এটি পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক ময়লা পরিষ্কারকারী (natural cleaner) হিসেবে কাজ করে, যা রোগজীবাণুর বিস্তার রোধে সাহায্য করে।
এই পাখিটি বাংলাদেশসহ এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার অনেক অঞ্চলে দেখা যায়। এটি মূলত মৃত প্রাণী ও ছোট ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী খেয়ে থাকে এবং শহরের কাছাকাছি এলাকাতেও টিকে থাকতে সক্ষম।
তীর গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন এই পাখিটি প্রকৃতির একটি অংশ, এটি পরিবেশ সহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে।
রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর কবির এর নির্দেশনায় কালিম পাখিটিকে উদ্ধার শেষে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়।
তীর গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখার সদস্যরা জানান আজ পরিবেশ দিবসে বন্য প্রাণী উদ্ধার ও অবমুক্ত করতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৪ জুন শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন তীর এর জন্ম। ৫ জুন ২০১১ বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের সবুজ ক্যাম্পাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তীরের যাত্রা শুরু হয়।তীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।২০২১ সালে তাদের কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জাতীয় পরিবেশ পদকে ভূষিত হয়। তীর গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখা ২০১৯ সাল থেকে পরিবেশ,জীববৈচিত্র্য এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ করে আসছে।
মন্তব্য করুন