দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ৬নং রণগাঁও ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান নিমাই চন্দ্র দেব শর্মার বিরুদ্ধে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত ১০ কেজি চালের পরিবর্তে সুবিধাভোগীদের ৮ থেকে ৯ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (২ জুন) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ চলছে। চাল গ্রহণকারী কয়েকজনের চাল অন্য একটি ডিজিটাল ওজনযন্ত্রে পরিমাপ করে দেখা যায়, কেউ পেয়েছেন ৮ কেজি, কেউ ৮ কেজি ১০০ গ্রাম, আবার কেউ ৯ কেজি ২০০ গ্রাম। তবে কেউই ১০ কেজি চাল পাননি।
সুবিধাভোগী এক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার আমাদের জন্য ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে। তারা ৮ কেজি করে চাল দিচ্ছে। আমরা কেন দুই কেজি করে কম নেব?”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রণগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নিমাই দেব শর্মা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “এল.এস.ডি. থেকে যে চালের বস্তা পেয়েছি, তাতে ৫০ কেজির পরিবর্তে ৪৫ থেকে ৪৭ কেজি পর্যন্ত চাল রয়েছে। সেই ঘাটতি সামলাতে গিয়েই কিছুটা কম দিতে হয়েছে।” তিনি দায় দেন খাদ্য গুদাম (এলএসডি) কর্তৃপক্ষের ওপর।
তবে ইউনিয়নের ট্যাগ কর্মকর্তা বাবু নিরঞ্জন রায় বলেন, “আমি উপস্থিত থাকাকালীন ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। আমি অন্য একটি কাজে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের বাইরে যাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে সেতাবগঞ্জ এলএসডি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা স্কেলের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে চাল মেপে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করেছি। তারা সেগুলো বুঝে নিয়েছেন।”
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পান বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফ হাসান। তিনি বলেন, “এগুলো গরিব ও অসহায় মানুষের হক। ভবিষ্যতে যদি আবারও মাপে কম দেওয়া হয়, তবে চাল বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করা হবে।”
মন্তব্য করুন