দিন দিন নিজেকে আরও উন্নত ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছেন তিনি, যার কারণে তাঁর দিকে বিভিন্ন ক্লাবের নজর পড়ছে। তবে ইয়ামাল স্পষ্টভাবে বলেছেন, তিনি বার্সেলোনাতেই থাকতে চান। বার্সাও কখনও না কখনও জানিয়েছে, তারা ইয়ামালকে ছাড়তে চায় না। বর্তমানে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত বার্সার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে ইয়ামালের, তবে এবার সেই চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানো হচ্ছে।
স্পেনের শীর্ষ ক্রীড়া দৈনিক মুন্দো দেপোর্তিভো এবং দিয়ারিও স্পোর্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়ামাল বার্সার সঙ্গে ২০৩১ সাল পর্যন্ত চুক্তি করবেন। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তবে আজই চুক্তিপত্রে সই করতে পারেন এই তরুণ প্রতিভা। গতকাল বার্সেলোনার তোরে মেলিনা হোটেলে ইয়ামালের এজেন্ট জর্জ মেন্দেসের সঙ্গে ক্লাব সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা এবং ক্রীড়া পরিচালক ডেকো বৈঠক করেছেন, যা বেশ ফলপ্রসূ ছিল এবং বেশিরভাগ বিষয় নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে। নতুন চুক্তির ফলে ইয়ামাল হতে যাচ্ছেন বার্সেলোনার সবচেয়ে বেশি বেতনপ্রাপ্ত ফুটবলার।
বর্তমানে বার্সার সর্বোচ্চ বেতনের খেলোয়াড় হলেন রবার্ট লেভানডফস্কি, যিনি প্রতি সপ্তাহে ৬ লাখ ৪০ হাজার ৯৬২ ইউরো (৮ কোটি ৯০ লাখ ২৩ হাজার টাকা) পান। ইয়ামালের বর্তমান সাপ্তাহিক বেতন ৬৪ হাজার ৩৮ ইউরো (৮৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা)। আগামী ১৩ জুলাই তাঁর বয়স ১৮ হবে, তখন বেতন বাড়বে, তবে চুক্তি নবীকরণ হলে তার পারফরম্যান্স অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি হবে।
২০২৪–২৫ মৌসুমে ইয়ামালের পারফরম্যান্স অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন ছিল। তিনি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৮ গোল করেছেন এবং সতীর্থদের দিয়ে ২৫টি গোল করিয়েছেন। তার মাঠে উপস্থিতি প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের জন্য অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে, এবং বেশ কিছু ম্যাচে তিনি একক পারফরম্যান্সে খেলার রং বদলে দিয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত চুক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল, তবে তা ২০৩১ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যদি ইয়ামাল এই সময়ের মধ্যে ব্যালন ডি’অর জয়ী হন, তবে তাকে একটি বড় বোনাস দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে চুক্তির রিলিজ ক্লজের বিষয়ে এখনো একমত হওয়া যায়নি, যা প্রথমে ১০০ কোটি ইউরো (১৩ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা) নির্ধারণ করা হয়েছিল।
ইয়ামাল শীঘ্রই জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিতে যাচ্ছেন এবং তারপর বড় ছুটিতে চলে যাবেন। বার্সেলোনা চায়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইয়ামালের সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানে, ইয়ামালের বয়স ১৮ পূর্ণ হলে চুক্তি বিষয়ক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে, তাই তারা এড়াতে চায়।
বার্সেলোনার কোচ হান্সি ফ্লিক নিজের প্রথম মৌসুমেই ক্লাবকে তিনটি ট্রফি (লা লিগা, কোপা দেল রে, স্প্যানিশ সুপার কাপ) এনে দিয়েছেন এবং তাঁর কাজের প্রতি ক্লাবের সন্তুষ্টি রয়েছে। ফ্লিকের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় ইয়ামাল ছিল গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, আর এখন তো একাদশে ইয়ামাল ছাড়া বার্সার কল্পনাও করা যায় না। এ কারণে যেকোনো মূল্যে ইয়ামালকে ধরে রাখতে চাইছে বার্সা।
মন্তব্য করুন