বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং তার ছোটভাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিনের নামে ফেইসবুক আইডি খুলে প্রতারণার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- নীলফামারী জেলার ডিমলার পশ্চিম খড়িবাড়ি গ্রামের সামসুল হকের ছেলে শহিদুল ইসলাম ও টাঙ্গাইল বড়াডামা এলাকার আনিসুর রহমানের ছেলে হায়দার রহমান জয়।
রবিবার (২৫ মে) রাতে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্তদের আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মির্জা ফখরুলের নাম ব্যাবহার করে প্রতারণার বিষয়ে গত ২৫ মে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হয়ে তার চাচাতা ভাই নূর-এ-শাহাদাৎ স্বজন বাদি হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি অভিযাগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নিজ বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এর আগে গত ২১ মে মির্জা ফয়সাল আমিনের হয়ে তার এপিএস সাইফুল ইসলাস সবুজ থানায় আরেকটি অভিযাগ দায়ের করেন। এরপর এই দুই অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজু করে পুলিশ।
মির্জা ফখরুলের নাম ব্যাবহার করে প্রতারণার বিষয়ে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নূর-এ-শাহাদাৎ স্বজন উল্লেখ করেছেন, গত ১৭ মে ২০২৫ রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় তিনি জানতে পারেন যে, ‘জয় খান’ (হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ০১৭০৪-৫৫৩০৫৫) নামে একটি ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক ব্যক্তি (পরিচয় ও ঠিকানা অজ্ঞাত) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি ভুয়া ফেইসবুক আইডি তৈরি করেছেন। এই ভুয়া আইডি ব্যবহার করে প্রতারকচক্র নিজেদের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরিচয় দিয়ে ফেইসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন ব্যক্তিকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং সংসদ সদস্যের মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদা ও অর্থ দাবি করছিল। এর সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কোন প্রকার সম্পর্ক নেই। ভবিষ্যতে তার নাম ভাঙিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি সাধিত হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল।
এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরোয়ারে আলম খান বলেন, রোববার রাতেই আসামিদের ঠাকুরগাঁওয়ের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তুলে পাঁচ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক আসামি হায়দার রহমান জয়ের তিন দিন এবং অপর আসামি শহিদুল ইসলামের দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে। আরও কেউ জড়িত কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন