স্ট্রবেরি একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল। এটি কেক, আইসক্রিম, বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাবারে ব্যবহৃত হয়। স্মুদি থেকে পেস্ট্রি— প্রায় সব কিছুতেই লাল রঙের এ ফলটির ব্যবহার দেখা যায়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ স্ট্রবেরি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
স্ট্রবেরিতে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল কিডনির কোষগুলোতে ফ্রি-র্যাডিক্যাল কমাতে ভূমিকা রাখে। এতে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ কমে। পাশাপাশি, এই ফলটি কিডনি ডিটক্সে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং লিভারের স্বাস্থ্যও উন্নত করে। নিয়মিত স্ট্রবেরি খাওয়া রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক।
স্ট্রবেরির আরও একটি উল্লেখযোগ্য গুণ হলো, এটি হার্টের অসুখ এবং স্থূলতা প্রতিরোধে কার্যকরী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘এ’, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। অনেকেই ডায়াবেটিস রোগীদের স্ট্রবেরি না খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রবেরি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মিষ্টির লোভ মেটাতেও সাহায্য করে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, স্ট্রবেরি ইনসুলিন সংকেতকে উন্নত করে। ফলে রক্তপ্রবাহ থেকে শর্করা বের হয়ে কোষে পৌঁছায় এবং শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এভাবে এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ট্রবেরি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও পলিফেনল সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি প্রদাহ কমাতে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাসে কার্যকরী। অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ এ ফলটি যেকোনো বেরিজাতীয় ফলে পাওয়া যায়। স্ট্রবেরি সেই তালিকার অন্যতম।
মন্তব্য করুন