কুরবানির ঈদ আসতে এখনও এক মাস বাকি। এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মসলাজাতীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, এলাচসহ প্রায় সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৭০ টাকায়। এক মাস আগেও এই পণ্যটি ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল। একইভাবে দেশি রসুনের কেজি এখন ১১০ টাকা, যা এক মাস আগেও ছিল ৮০ টাকা। আমদানি করা রসুনের দাম কেজি প্রতি ১৮৫-২৪০ টাকা।
মসলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে আদা ও হলুদের। আমদানি করা আদার কেজি এখন ২০০-২২০ টাকা। দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৫০ টাকায়। হলুদের কেজি মানভেদে ২৫০-৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া জিরার কেজি ৬৫০-৭৫০ টাকা এবং দারুচিনির দাম ৫৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৮০ টাকায় পৌঁছেছে।
এলাচ ও লবঙ্গের দামেও বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা গেছে। ছোট দানার এলাচের কেজি এখন ৪৬০০-৫৩০০ টাকা, যা এক মাস আগেও ৪৫০০-৫১০০ টাকায় ছিল। লবঙ্গের কেজি ১৪০০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে শুধু মসলাই নয়, চালের দামও বেড়েছে। মিনিকেট চালের কেজি এখন ৮৭-৮৮ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৮৫ টাকা। পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল ৫২-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খোলা আটা ৪৫ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৫৫ টাকা এবং ময়দা ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের দামেও অস্থিরতা দেখা গেছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকায়। দেশি মুরগির কেজি ৫০০-৬৬০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়, আর খাসির মাংস ১১০০-১২৫০ টাকায়।
বাজারে মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন জানান, ঈদের আগে মসলার বাজারে দাম বাড়ানো যেন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ভোক্তাদের হয়রানি করছেন। বাজার নিয়ন্ত্রণে এখন থেকেই কার্যকর তদারকি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মালিবাগ কাঁচাবাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা মো. দিদার হোসেন জানান, আমন মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে নতুন বোরো চাল বাজারে আসলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে।
মন্তব্য করুন