পাক-ভারত সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, “আমরা আশা করি, ভারত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়া এমনভাবে জানাবে যাতে তা বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ না নেয়।”
ফক্স নিউজ-এর ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ শোতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ওয়াশিংটনের প্রত্যাশা—ইসলামাবাদ পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসীদের দমনে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করবে।”
জেডি ভ্যান্স আরও বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা, পাকিস্তান যতটা সম্ভব ভারতকে সহায়তা করবে, যাতে পাকিস্তানি ভূখণ্ডে সক্রিয় সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা যায়।”
অন্যদিকে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। জিও নিউজ-এর ‘নয়া পাকিস্তান’ অনুষ্ঠানে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, “ভ্যান্স উত্তেজনা হ্রাসের আহ্বান জানালেও তিনি ভারতের ‘সীমিত প্রতিক্রিয়ার’ পথও খোলা রেখেছেন, যা ২০১৯ সালে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতের রাফায়েল জেটের সীমান্তের কার্যকলাপ ছিল একধরনের উসকানি। কিন্তু পাকিস্তান তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে সফলভাবে তা প্রতিহত করেছে। আমরা ভারতের ফাঁদে পা দেব না।”
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানকে দায়ী করেনি, তবে তারা পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল, কূটনীতিক বহিষ্কার এবং সিন্ধু নদ পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতসহ একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
জবাবে পাকিস্তানও ভারতের জন্য নিজেদের স্থল ও আকাশসীমা বন্ধসহ পালটা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যেই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, গত মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন পাকিস্তানকে হামলার জবাব দেওয়ার জন্য।
তথ্যসূত্র: দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল
মন্তব্য করুন