ইসরায়েলি দখলদারিত্ব পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ সংগ্রাম চলবে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। গোষ্ঠীটির এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
হামাস বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ‘নির্ধারিত বিজয়’ ও রাফাহ ধ্বংসের হুমকি আসলে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যর্থতা আড়াল করার এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার এক মরিয়া প্রচেষ্টা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমরা দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিচ্ছি, দখলদারিত্ব পুরোপুরি পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিরোধ চলবে। রাফাহ প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে থাকবে এবং আক্রমণকারীদের জন্য এক অবিরাম দুঃস্বপ্ন হয়ে রয়ে যাবে।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, দক্ষিণ ইসরাইলে হামলা চালায় হামাস। ওই হামলায় ১,২০০ জন নিহত হন এবং প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
হামাসের এই হামলার পরপরই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। টানা ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলে এই অভিযান। যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর চাপের মুখে ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
তবে যুদ্ধবিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই, ১৮ মার্চ থেকে আবারও গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। দ্বিতীয় দফার এই হামলায় এখন পর্যন্ত দুই হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
গত দেড় বছরে গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৩০০ জনে এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৬ হাজার ৪১৬ জনে। নিহত ও আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের এক কর্মকর্তা গত সপ্তাহে এএফপিকে জানান, হামাস একাধিক ধাপে বন্দি বিনিময় এবং পাঁচ বছরের জন্য যুদ্ধবিরতিতে রাজি রয়েছে।
হামাস দাবি করছে, যুদ্ধবিরতির যে কোনো চুক্তিতে ৭ অক্টোবরের আগের পরিস্থিতিতে ফিরে যাওয়া, ইসরায়েলি হামলা বন্ধ, গাজা থেকে সম্পূর্ণ ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, বন্দি বিনিময় এবং উপত্যকায় অবিলম্বে পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করা আবশ্যক।
মন্তব্য করুন