বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সোনালি ধানে ভরে উঠেছে মাঠের পর মাঠ, আর কৃষকের মুখে ফুটেছে প্রশান্তির হাসি। এখন চারদিকে চলছে ধান কাটার ব্যস্ততা আর উৎসবের আমেজ।
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ:
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ১২ হাজার ১২৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শ মেনে চাষ করার ফলে কৃষকরা এবার আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন।
মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব:
চিতলমারীর বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বাতাসে দোল খাচ্ছে পাকা সোনালি ধানের শীষ। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত কৃষকরা মাঠের ধান কেটে গোলায় তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষকদের অভিমত:
শ্রীরামপুর গ্রামের গোপাল বালা, দেব ভক্ত, উত্তম বাড়ৈ এবং বড়বাড়িয়া গ্রামের রিপন মোল্লা, নাসির মোল্লা, হিরমন মাঝি, বিনয় মণ্ডলসহ অনেকে জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও নিয়মিত পরামর্শে তাঁরা এবার ভালো ফলনের আশা করছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে আগের বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি ধান ঘরে তুলতে পারবেন বলে জানান তাঁরা।
কৃষি কর্মকর্তার বক্তব্য:
চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিফাত-আল-মারুফ বলেন, “ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে নিবিড়ভাবে কাজ করেছি। ফলন অত্যন্ত আশানুরূপ হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ ধান কেটে ঘরে তোলা হয়েছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি এড়াতে ধান ৮০ ভাগ পেকে গেলেই কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
মন্তব্য করুন