বলিউড আর ক্রিকেট—দুই জগতের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মা। তবে এবার শোনা যাচ্ছে, নিজেদের দেশের সঙ্গে ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন তারা। এই খবর যেমন মন খারাপ করেছে বলিউডের, তেমনি মন খারাপ অনুরাগীদেরও। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত?
দুটি বড় কারণের কথা উঠে এসেছে বলিউড সূত্রে:
১. সন্তানদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা:
সাইফ আলি খানের সন্তানদের নিয়ে অতিরিক্ত সংবাদমাধ্যমের কৌতূহলের পর থেকে অনেক তারকাই সন্তানদের দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আলিয়া ভাটও এখন মেয়ে রাহা কাপুরকে পাপারাজ্জিদের চোখের আড়ালে রাখছেন। একই রকম ভাবনা বিরাট-আনুশকারও। তারা চান, তাদের দুই সন্তান স্বাভাবিক ও নিরাপদ জীবন পাক।
২. পহেলগাঁও হামলার প্রভাব:
সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা বিরাট-আনুশকার মনেও গভীর ছাপ ফেলেছে। নিরাপত্তার প্রশ্নটাও তাদের মনে আরও দৃঢ় হয়েছে।
বিদেশে দ্বিতীয় সংসার:
মাধুরী দীক্ষিতের একটি পডকাস্টে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে বিরাট-আনুশকা অল্প ইঙ্গিত দিয়েছেন তাদের নতুন জীবনের বিষয়ে। মাধুরীর স্বামী ডা. শ্রীরাম নেনে জানান, বিরাট-আনুশকা চান তাদের সন্তানরা নিরাপদ ও গোপনীয় পরিবেশে বড় হোক। আর সেই কারণেই লন্ডনে তারা দ্বিতীয় সংসার পেতেছেন।
কী বলেছিলেন বিরাট-আনুশকা:
পডকাস্টে তারা আক্ষেপ করে বলেন, ভারতে ইচ্ছে করলেও তারা আর সহজে ফুচকা বা ভেলপুরি খেতে বেরোতে পারেন না। সংবাদমাধ্যমের অতিরিক্ত কৌতূহলে রাস্তায় ভিড় জমে যায়। সন্তানদের নিয়েও এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
বিদেশে, বিশেষ করে লন্ডনে, এমন অহেতুক নজরদারি নেই। তাই সেখানে তারা তাদের সন্তানদের স্বাভাবিক জীবন উপহার দিতে পারছেন বলে মনে করছেন।
তবে দেশে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হচ্ছেন না:
পেশাগত কারণ বা কোনো বিশেষ উদ্যাপনে তারা অবশ্যই ভারত সফর করবেন এবং কিছুদিনের জন্য থাকবেনও। তবে স্থায়ী আবাসন আপাতত বিদেশেই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন