রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র মাঠে যেমন দক্ষ, মাঠের বাইরে ব্যবসায়িক বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রেও তিনি প্রশংসিত। তবে সম্প্রতি তার এই ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা তাকে জটিলতায় ফেলতে পারে। ফিফার নীতিমালার সম্ভাব্য লঙ্ঘনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করা হয়েছে।
ইতালিয়ান সাংবাদিক জিয়ানলুকা দি মার্জিওর বরাতে মার্কা জানিয়েছে, ফিফার এথিক্স কমিটির কাছে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দিয়েছে ব্রাজিলিয়ান কোম্পানি ‘তিবেরিস হোল্ডিং দো ব্রাজিল’। তাদের অভিযোগ, একজন সক্রিয় পেশাদার ফুটবলার হিসেবে ভিনিসিয়ুস সরাসরি বা পরোক্ষভাবে ফুটবল ক্লাবের মালিক হতে পারেন না। এতে স্বার্থের সংঘাত তৈরি হয় এবং প্রতিযোগিতার স্বচ্ছতা ক্ষুণ্ন হয়, যা ফিফার নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছে ব্রাজিলের একটি ক্লাব—‘অ্যাথলেটিক ক্লাব দে সাও জোয়াও দেল রেই’। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ভিনিসিয়ুসের বাবা ও এজেন্ট থাসসিলো সোয়ারেস। অভিযোগ অনুযায়ী, এই ক্লাবের মালিকানায় ভিনিসিয়ুস অংশীদার হয়েছেন ‘অল আজেন্সিয়ামেন্তো এস্পোর্তিভো’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। তিবেরিসের দাবি, ক্লাবটির ১৬.৫% শেয়ারের মালিক হওয়া সত্ত্বেও তারা শেয়ার বিক্রির সময় তাদের প্রাথমিক প্রস্তাব জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই ইস্যু বর্তমানে সাও পাওলোর একটি আদালতে বিচারাধীন এবং বিক্রির কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়া, পর্তুগিজ ক্লাব ‘আলভেরসা’র সঙ্গেও ভিনিসিয়ুসের সংযুক্ততা রয়েছে বলে জানা গেছে। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব থেকে রাফায়েল কনসেইসাও নামে এক খেলোয়াড়কে সেখানে ধারে পাঠানো হয়, যা স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এই পরিস্থিতিকে তিবেরিস ফিফার ‘আর্টিকেল ২০’ এবং স্পেনের ‘আর্টিকেল ২২’ অনুযায়ী নৈতিক লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।
এই ধরণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভিনিসিয়ুসকে বিপর্যয়কর শাস্তির মুখোমুখি হতে হতে পারে। সম্ভাব্য শাস্তির মধ্যে রয়েছে জরিমানা, ক্লাব বিক্রি করতে বাধ্য করা, এমনকি সর্বোচ্চ দুই বছরের নিষেধাজ্ঞাও। বর্তমানে ফিফা বিষয়টি পর্যালোচনা করছে এবং আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত এখনও জানানো হয়নি।
ভবিষ্যতে কী সিদ্ধান্ত আসে, সেটিই নির্ধারণ করবে এই তরুণ তারকার মাঠের বাইরে নেওয়া সিদ্ধান্ত তার ক্যারিয়ারে কীভাবে প্রভাব ফেলবে।
মন্তব্য করুন