RCTV Logo বিনোদন ডেস্ক
২১ এপ্রিল ২০২৫, ৩:৩৪ অপরাহ্ন

বিচ্ছেদের রহস্য ফাঁস করলেন সালমানের সাবেক ভ্রাতৃবধূ সীমা

বলিউডের ভাইজানখ্যাত অভিনেতা সালমান খানের ভাই সোহেল খানের সাথে বিবাহিত সম্পর্কের পর ১৯৯৮ সালে সীমা সাজদেহের সাথে তার বিয়ে হয়েছিল। তবে তাদের সম্পর্ক বেশ কিছু বছর আগেই ভেঙে যায়। সম্প্রতি সীমা সাজদেহ তার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রকাশ করেছেন এবং এটি তার জীবন কিভাবে বদলে দিয়েছে, তা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, তারকা দম্পতিদের বিয়ে ভাঙার কারণ হিসেবে পরকীয়া সবসময় কাঠগড়ায় ওঠে। কিন্তু সীমা সাজদেহ মনে করেন, পরকীয়া কখনোই তাদের বিচ্ছেদের মূল কারণ ছিল না। তিনি দাবি করেন, বিয়ে ভাঙার জন্য অনেক গভীর কারণ থাকে, যা সাধারণত সবার কাছে প্রকাশ পায় না। সীমা বলেন, “পরকীয়া যদি কোনো কারণে হয়ে থাকে, তবে তা একেবারেই সঙ্গীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল, কিন্তু আমাদের বিচ্ছেদে তা মোটেও দায়ী নয়।”

সীমা আরও বলেন, বিয়ে ভাঙার জন্য সঙ্গীর অন্য কাউকে ভালো লাগতে পারে, তবে এতে কোনো দোষ নেই। তিনি বলেন, “আমরা সবাই রক্তমাংসের মানুষ, তাই একাধিক মানুষকে ভালো লাগাটা স্বাভাবিক।” এর মানে এই নয় যে, সম্পর্কে না জড়িয়েও স্বামী বা স্ত্রী মনোযোগ দিয়ে অন্য কাউকে ভাবলে সেটি পরকীয়া হিসেবে গণ্য হয়, এবং এটি সঙ্গীর সাথে প্রতারণার সমান।

এছাড়াও, সীমা সাজদেহ বলেন, দাম্পত্য সম্পর্কের সফলতা পুরোপুরি নির্ভর করে জীবনযাত্রার উপর। একবার যদি সেই জীবনযাত্রায় অসামঞ্জস্যতা আসে, তবে তা ঠিক করা খুবই কঠিন এবং দুঃখজনক। তিনি স্বীকার করেন, তার নিজের জীবনে অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। “বিয়ের পর আমি সোহেলের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলাম, যা সম্পর্কের জন্য ভালো ছিল না,” বলেন সীমা।

তিনি আরো বলেন, “যদি কোনো দাম্পত্য সম্পর্কে অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা থাকে, তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গী এবং সম্পর্কের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।” সীমা মনে করেন, যদি সময়মতো সচেতন না হওয়া যায়, তাহলে সেই তিক্ত সম্পর্ক সন্তানদের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

সীমা সাজদেহ, যিনি এক সময় ‘খান’ পরিবারের বউ হিসেবে পরিচিত ছিলেন, এখন তার নিজস্ব পরিচয়ে পরিচিত। সোহেল খানের সাথে বিচ্ছেদ হওয়া পর, সীমা প্রথমে সোহেলের বাড়ির কাছাকাছি একটি বাড়িতে থাকতেন। পরে, তার ছোট ছেলে ইয়োহানের জন্য তিনি বান্দ্রা থেকে ওরলিতে স্থানান্তরিত হন, যাতে সে নতুন বন্ধু বানাতে পারে এবং তার জন্য আরও ভালো পরিবেশ তৈরি হয়। তবে বড় ছেলে নির্বাণ এই সিদ্ধান্তে খুশি ছিলেন না, কারণ তার ভাবনা ছিল যে তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর সারা পরিবার একসঙ্গে থাকতে পারবে না। তবে এখন, সে তার বাবার বাড়িতেই বেশি সময় কাটায়।

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সৌদিতে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

কুড়িগ্রামে সেনা অভিযানে গাঁজা ও ইয়াবা উদ্ধার

পাকিস্তান সিরিজে টিকিট বিক্রি থেকে কত টাকা পেল বিসিবি

সিজু হত্যার বিচারের দাবিতে সাঘাটায় মানববন্ধন 

পেছালো হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতুর উদ্বোধন

ড্যাপ বাতিলসহ ৪ দফা দাবি স্থপতি ইনস্টিটিউটের

যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয় : অর্থ উপদেষ্টা

দাবি না মানলে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি পরিবহন মালিকদের

আইশা খানের ব্যস্ততম সময়: গত কয়েক মাসে ১০ নাটক ও ওয়েব সিরিজ

১০

ঢাবিতে তোফাজ্জল হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন জমা পিছিয়ে আগস্টের ২৮ তারিখ নির্ধারণ

১১

১০ দফা দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

১২

আরসিটিভি’তে সংবাদ প্রকাশের পর জলাবদ্ধতায় পানিবন্দি পরিবারের পাশে জামায়াত নেতা হারুন

১৩

জুলাই পুনর্জাগরণে নতুন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে রাজশাহীতে শপথ

১৪

‎কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক না থাকায় রোগীর মৃত্যু

১৫

লালমনিরহাটে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ১০০ বছরের বৃদ্ধার মৃত্যু , আহত ৩

১৬

আর্জেন্টিনার পর গ্রুপসেরা হয়ে সেমিতে ব্রাজিল, প্রতিপক্ষ কারা

১৭

কুড়িগ্রামে রাতের আধাঁরে নৌকা বানিয়ে ঝুলিয়ে দিলেন রাস্তায়, সকালে গ্রেফতার আওয়ামী নেতা

১৮

আরসিটিভিতে সংবাদ প্রকাশের পর কৃত্রিম জলাবদ্ধতা নিরসন করলো উপজেলা প্রশাসন

১৯

সারাদেশের মতো লালমনিরহাটেও জুলাই পুনর্জাগরণে লাখো কণ্ঠে শপথ

২০