ইস্টার উপলক্ষে ইউক্রেনের সঙ্গে ৩০ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এই সিদ্ধান্তে আস্থা রাখতে পারছেন না মস্কোর সাধারণ মানুষ।
শনিবার (২০ এপ্রিল) এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি আবাসিক এলাকায় অনেক বাসিন্দা এই সাময়িক বিরতিকে অস্থায়ী ও অর্থহীন বলে মনে করছেন।
৬১ বছর বয়সি অবসরপ্রাপ্ত স্বেতলানা বলেন,
“আমার মনে হয় না এর কিছু হবে। ইউক্রেন এই চুক্তি মানবে না, তাই এ থেকে কিছুই আসবে না।”
৮৫ বছর বয়সি মারিয়া গোরানিনা বলেন,
“ইউক্রেন বিরতিকে শুধু পুনরায় সংগঠিত হওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখবে। আমি চাই চিরদিনের জন্য শান্তি হোক, কিন্তু এটা সেই পথ নয়।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, কিয়েভ যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, যদিও কিয়েভ তখন রাজি ছিল। এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, ফলপ্রসূ অগ্রগতি না হলে তিনি মধ্যস্থতা থেকে সরে যাবেন।
৫৮ বছর বয়সি বাসিন্দা ইয়েভগেনি পাভলোভ বলেন,
“আমি ইউক্রেনকে বিশ্বাস করি না। বিরতির নাম করে ওরা আবার হামলা চালাবে। আমাদের উচিত চাপ দিয়ে যাওয়া, থেমে গেলে সব বৃথা যাবে।”
রুশ সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা কুরস্ক সীমান্ত অঞ্চলের একটি গ্রাম পুনর্দখল করেছে, এবং আরও উত্তরে সুমি অঞ্চলে অগ্রসর হয়েছে।
পুতিন এই যুদ্ধবিরতিকে ‘মানবিক পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যা দিলেও মস্কোর সাধারণ মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা ও সন্দেহ স্পষ্ট।
মন্তব্য করুন