যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের একদল কর্মকর্তা আগামী দিনে ঢাকা সফর করতে যাচ্ছেন। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কার, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তারা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথেও মতবিনিময় করবেন। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে গণতান্ত্রিক সংস্কার, মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা।
এছাড়াও, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন ও মানবিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এদিকে, মিয়ানমারে নিযুক্ত মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসনও এই সফরে অংশ নিতে পারেন। তিনি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকট, সামরিক জান্তার ভূমিকা এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সম্প্রসারিত হয়েছে। তবে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সংক্রান্ত ইস্যুগুলো দুই দেশের মধ্যে মাঝেমধ্যে উত্তাপ তৈরি করেছে। এই সফরে সেই বিষয়গুলোতেও সমাধান খোঁজার চেষ্টা হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সফরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে, ২০২৪ সালের আগে সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক সংলাপ জোরদার করতে মার্কিন ভূমিকা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে।
এদিকে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আরও জোরালো সমর্থন চাইছে। মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ওয়াশিংটনের অবস্থানও এই আলোচনায় উঠে আসতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সফর বাংলাদেশ-মার্কিন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সংলাপের অগ্রগতি মার্কিন প্রতিনিধিদলের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকবে।
মন্তব্য করুন