ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্মম হামলা থামছেই না। নির্বিচারে বোমাবর্ষণে হাজারো নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন—নারী, শিশু, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও উদ্ধারকর্মীদেরও রেহাই দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী। গত কয়েক সপ্তাহেই ৫০০-এর বেশি শিশু প্রাণ হারিয়েছে এই হামলায়।
গাজাবাসীর দুর্দশায় বিশ্বজুড়ে চলছে প্রতিবাদ ও সংহতি প্রকাশের ঢল। বাংলাদেশেও সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সেলিব্রিটিরা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলের এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
ঢালিউডের মেগাস্টার শাকিব খান ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্টে গাজাবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “গাজা আজ শুধু একটি ভৌগোলিক নাম নয়, এটি নির্যাতিত মানুষের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা ছাড়া আমাদের হাতে খুব কমই করার আছে। তবুও ফিলিস্তিনিদের পাশে আছি—ভালোবাসা, সংহতি ও শান্তির প্রত্যাশায়।”
অভিনেত্রী জয়া আহসান ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, “দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি সেনারা ১৫ জন জরুরি চিকিৎসাকর্মীকে হত্যা করেছে। এটি তাদের নির্মম গণহত্যারই অংশ। তারা ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্ব মুছে ফেলার মিশনে নেমেছে।”
অভিনেতা সিয়াম আহমেদ ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “আমি যখন এই পোস্ট লিখছি, তখনও গাজার অস্তিত্ব কি মুছে যাচ্ছে? আমরা কি এই শহরটাকে, এই দেশটাকে বাঁচাতে পারলাম না? ফিলিস্তিনের এই ধ্বংসের দায় কি আমরা এড়াতে পারব?”
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও সড়কে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ও সমাবেশ চলছে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাধারণ নাগরিকরা ইসরায়েলের হামলা বন্ধের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন এবং মানববন্ধনে অংশ নিচ্ছেন।
বিশ্ব নেতাদের নিষ্ক্রিয়তাকে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করা হচ্ছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, কেন জাতিসংঘ ও অন্যান্য শক্তিশালী রাষ্ট্র ইসরায়েলের এই নৃশংসতাকে থামাতে কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না।
ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান এই গণহত্যা বন্ধে বিশ্বব্যাপী চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ শুধু প্রতিবাদই করছেন না, পাশাপাশি গাজাবাসীর জন্য সাহায্য ও মানবিক সহায়তা পাঠানোরও দাবি জানাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন