তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, জাতিগত বা ধর্মীয় পটভূমি নির্বিশেষে ৮৫ মিলিয়ন নাগরিক যাতে সমান এবং নিরাপদ বোধ করেন, তা নিশ্চিত করতে তার প্রশাসন কাজ করছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাজধানী আঙ্কারায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এরদোগান। সেখানে তিনি ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষার প্রতি তার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বক্তব্যের সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, তার প্রশাসন নিশ্চিত করতে চায় যে তুরস্কের প্রতিটি নাগরিক, তাদের জাতিগত বা ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, সমান অধিকার ও নিরাপত্তা ভোগ করবেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অমুসলিম নাগরিকরা যাতে কোনো ধরনের অস্বস্তির সম্মুখীন না হন, তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
ইফতার অনুষ্ঠানে সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহাম্মদ, উচ্চপদস্থ তুর্কি কর্মকর্তা এবং ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এরদোগান তুরস্কের বহুজাতিক ও বহু ধর্মের ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘ইস্তাম্বুল থেকে মারদিন এবং হাতাই পর্যন্ত, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রার্থনার জন্য আজান, গির্জার ঘণ্টা ও সিনাগগের স্তবগান একসঙ্গে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। মসজিদ, গির্জা ও সিনাগগগুলো পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে, একই রাস্তা ও শহর ভাগ করে নিয়েছে।’
বিশ্বব্যাপী ঘৃণামূলক বক্তব্য ও সাংস্কৃতিক অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধির এই সময়ে তিনি এই ঐতিহ্য সংরক্ষণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান বর্ণবাদ ও ধর্মান্ধতার যুগে, আমাদের বৈচিত্র্যকে সামাজিক সমৃদ্ধির উৎস হিসেবে দেখার ঐতিহ্যকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।’
তার দলের শাসনের ২৩তম বছর উপলক্ষে এরদোগান জোর দিয়ে বলেন, ‘তুরস্ক সকল নাগরিকের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রসারিত করেছে।’
তথ্যসূত্র: হুরাইত
মন্তব্য করুন