দখলদার ইসরাইলের গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ এবং সেখানে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের নীতির কঠোর সমালোচনা করেছে কাতার। দেশটি এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং অমানবিক কাজ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিখাই আদরায়ে সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ঘোষণা দিয়ে বলেন—
🛑 “জাবালিয়া এলাকায় বসবাসকারী গাজার সমস্ত নাগরিকের জন্য এটি হামলার আগের চূড়ান্ত সতর্কবার্তা।”
তিনি ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এর আগেও বেইত লাহিয়া ও বেইত হানুনের বাসিন্দাদের জন্য একই ধরনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়—
📢 “গাজার ফিলিস্তিনি ভাইদের উচ্ছেদের লক্ষ্যে ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর পরিকল্পনাকে কাতার কঠোর ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছে। একইসঙ্গে পশ্চিম তীরে ১৩টি অবৈধ বসতিকে বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগও মারাত্মক অন্যায়।”
🚨 কাতার এটিকে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ২৩৩৪-এর চরম লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকা খালি করে ফিলিস্তিনিদের মিশর, জর্ডান ও অন্যান্য দেশে পাঠানোর পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছিলেন। যা মুসলিম বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক নেতাদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়ে।
💥 ১৫ মাসের টানা হামলার পর চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি গাজায় ৪২ দিনের একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়।
📌 চুক্তির আওতায়
🔹 ৩৩ জন ইসরাইলি জিম্মি মুক্তি পায়
🔹 প্রায় ১,৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়
⚠️ কিন্তু ইসরাইল যুদ্ধবিরতি ভেঙে ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে হামলা চালায়।
💀 এতে এখন পর্যন্ত
🔹 ৭৩০ জন নিহত
🔹 ১,২০০ জন আহত
💔 ৫০,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত (যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু)
💔 ১,১৩,৪০০ জনের বেশি আহত
💔 ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও নিখোঁজ প্রায় ১২,৫০০ মানুষ
🚨 নিখোঁজদের মৃত ধরে নিলে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬২,০০০-এরও বেশি।
⚖️ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC)
🔹 নভেম্বরে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনে।
⚖️ আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ)
🔹 ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলার কার্যক্রম চলমান।
👉 কাতারের নিন্দার পর আন্তর্জাতিক মহলে চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
📌 সূত্র: আনাদোলু
মন্তব্য করুন