অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১৩টি ইহুদি বসতি এলাকাকে আশপাশের এলাকাগুলো থেকে আলাদা ঘোষণা করার একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরাইলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিপরিষদ। রোববার ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ এ তথ্য জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে স্মোটরিচ বলেছেন, বসতি এলাকাগুলো শেষ পর্যন্ত স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। পশ্চিম তীরজুড়ে কয়েক হাজার আবাসনের অনুমোদনের পর এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
তিনি আরও লিখেছেন, “আমরা বসতিগুলোতে স্বাভাবিক অবস্থা ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার বিপ্লব চালিয়ে যাচ্ছি। লুকিয়ে না থেকে এবং ক্ষমা না চেয়ে আমরা পতাকা ওড়াই, নির্মাণ করি এবং বসতি স্থাপন করি। জুডিয়া ও সামারিয়ায় প্রকৃত সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
ইসরাইলের সরকার গোটা পশ্চিম তীরকেই ‘জুডিয়া ও সামারিয়া’ হিসেবে অভিহিত করে থাকে।
এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমালোচনা উঠেছে, বিশেষত ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং হামাসের পক্ষ থেকে। ফিলিস্তিনিরা এটিকে ঔপনিবেশিক দখলদারি সুসংহত করার প্রচেষ্টা হিসেবে নিন্দা করেছে।
১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের দখল নেয় ইসরাইল। বর্তমানে সেখানে ২৭ লাখ ফিলিস্তিনির পাশাপাশি প্রায় ৭ লাখ ইহুদি বসতি স্থাপনকারী বসবাস করছেন। অধিকাংশ দেশই ইসরাইলের এই বসতি স্থাপনকে অবৈধ বলে মনে করে, তবে ইসরাইল এর বিরুদ্ধে বাইবেল ও ইতিহাসের বরাত দিয়ে দাবি করে থাকে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ইসরাইলের বসতি স্থাপনের পক্ষের রাজনীতিবিদেরা উৎসাহিত হন। বর্তমানে কট্টর ডানপন্থি দল রিলিজিয়াস জায়নিজমের প্রধান বেজালেল স্মোটরিচ সরকারে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছেন।
এদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরাইলে হামলা চালানো হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিম তীরের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরের বিরোধিতা আরও শক্তিশালী হয়েছে। ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানায়, তারা পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে এবং সন্দেহভাজনদের নিশানা করছে।
মন্তব্য করুন