রাসুল (সা.)-এর ইতিকাফ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি ইবাদত। তিনি রমজান মাসের শেষ দশকে নিয়মিত ইতিকাফ করতেন, বিশেষত রমজানের ২১ থেকে ২৯ বা ৩০ তারিখ পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করতেন। এই সময়ে তিনি দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে আল্লাহর ইবাদত ও ধ্যানে মগ্ন থাকতেন।
রাসুল (সা.)-এর ইতিকাফের উদ্দেশ্য ছিল লাইলাতুল কদর (কদরের রাত) অনুসন্ধান করা এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা। তিনি এই সময়ে নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার এবং দোয়ায় বেশি বেশি সময় ব্যয় করতেন। তাঁর ইতিকাফ ছিল একাগ্রতা ও আত্মসমর্পণের অনন্য উদাহরণ।
রাসুল (সা.)-এর ইতিকাফের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহকে শেখানো হয়েছে যে, ইতিকাফ শুধু মসজিদে অবস্থান করা নয়, বরং এটি আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের একটি মাধ্যম। তাঁর ইতিকাফের আদর্শ অনুসরণ করে মুসলিমরা রমজান মাসে ইতিকাফের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করে থাকেন।
মন্তব্য করুন