সুদানের সেনাবাহিনী খার্তুমে অবস্থিত দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)কে হটিয়ে প্রাসাদটির দখল নেওয়া এই ঘটনা উত্তর আফ্রিকার দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। খবর বিবিসির।
সেনাবাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তারা এখন প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের চারপাশে আরএসএফ সদস্যদের খুঁজে বের করার জন্য অভিযান চালাচ্ছে। তবে প্রাসাদ হাতছাড়া হওয়ার প্রসঙ্গে আরএসএফের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে চলমান সংঘাত বিশ্বে সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। সংঘাতের ফলে দেশব্যাপী দুর্ভিক্ষ এবং প্রাণঘাতী রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
এই সংঘাতে অংশগ্রহণকারী দুই পক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে। কিছু জায়গায় আরএসএফ গণহত্যা চালানোর অভিযোগেও অভিযুক্ত হয়েছে, তবে উভয় পক্ষই এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে।
২০২৩ সালের এপ্রিলে, ক্ষমতার দ্বন্দ্বের ফলে আরএসএফ প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং খার্তুমের বেশিরভাগ অংশ দখল করে নিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেনাবাহিনী একে একে বিভিন্ন এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে তাদের এগিয়ে চলেছে।
চলতি বছরের শুরুতে আলাদা সরকার গঠন করা আরএসএফ এখনও খার্তুমের কিছু অংশ এবং প্রতিবেশী শহর ওমদুরমান ও পশ্চিম সুদানের অনেক এলাকায় তাদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। তারা এখন দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর শেষ শক্তিশালী ঘাঁটি আল-ফশিরের দখল নেওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
সেনাবাহিনী যদি খার্তুম দখল করে, তবে তারা সুদানের মধ্যাঞ্চলে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে। দুই পক্ষই একে অপরকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করেছে, তবে শান্তি আলোচনা কিংবা সমঝোতার কোনো উদ্যোগ এখনও দৃশ্যমান হয়নি।
মন্তব্য করুন