১. হালাল খাবার: ইফতারে হালাল খাবার খাওয়া জরুরি। হারাম বা সন্দেহজনক খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ হারাম খাওয়া রোজার মূল উদ্দেশ্যকে নষ্ট করে। হালাল খাবার ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত।
২. তাড়াতাড়ি ইফতার: সূর্যাস্তের পর দ্রুত ইফতার করা সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মানুষ যত দিন সময় হওয়ামাত্র ইফতার করবে, তত দিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে।” (বুখারি, হাদিস: ২৮৫২)
৩. ইফতারের মাধ্যম: খেজুর দ্বারা ইফতার করা উত্তম। তাজা খেজুর না থাকলে শুকনো খেজুর বা পানি দিয়ে ইফতার করা যাবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাজা খেজুর, শুকনো খেজুর বা পানি দিয়ে ইফতার করতেন।
৪. ইফতারের দোয়া: ইফতারের সময় এই দোয়া পড়া সুন্নত:
“বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়াআলা রিজকিকা আফতারতু।”
অর্থ: “আল্লাহর নামে, হে আল্লাহ! আপনার জন্য রোজা রেখেছি এবং আপনার রিজিক দিয়ে ইফতার করছি।”
ইফতারের পর এই দোয়া পড়া যায়:
“জাহাবাজ্-জামাউ, ওয়াব্ তাল্লাতিল উরুকু, ওয়া ছাবাতাল আজরু ইন্শাআল্লাহু তাআলা।”
অর্থ: “পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপশিরা সিক্ত হলো এবং ইনশাআল্লাহ পুরস্কার নির্ধারিত হলো।”
৫. মসজিদে ইফতার ও সাহরি: মসজিদে ইফতার ও সাহরি করা জায়েজ, তবে মসজিদ পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব নিতে হবে। জাকাতের টাকায় ইফতার করানো যাবে, তবে শর্ত হলো ইফতার গ্রহণকারী মিসকিন হতে হবে।
৬. অমুসলিমের দেওয়া খাবার: অমুসলিমের পাঠানো খাবার দিয়ে ইফতার করা জায়েজ, যদি তা হালাল হয়।
৭. ওষুধ দিয়ে ইফতার: অসুস্থ ব্যক্তি ওষুধ দিয়ে ইফতার করতে পারে।
৮. মুয়াজ্জিনের ইফতার: মুয়াজ্জিন সূর্যাস্তের পর প্রথমে ইফতার করবেন, তারপর আজান দেবেন।
৯. প্লেনে সফরকালে রোজা: পশ্চিম দিকে প্লেনে সফর করলে দিন বড় হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সূর্যাস্ত না হলে ২৪ ঘণ্টা পূর্ণ হওয়ার আগে ইফতার করতে হবে।
ইফতার ও সাহরির সময় হালাল খাবার খাওয়া, দ্রুত ইফতার করা এবং সুন্নত অনুসরণ করা রোজার পূর্ণতা অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
মন্তব্য করুন