ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার নামে বিশ্বকে ধোঁকা দিচ্ছে এবং বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে।
✅ যুক্তরাষ্ট্র মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে—তারা বলছে, “আমরা আলোচনায় আগ্রহী, কিন্তু ইরান চায় না।”
✅ ট্রাম্প আলোচনার যোগ্য ব্যক্তি নন—তিনি নিজেই আগের পরমাণু চুক্তি (JCPOA) বাতিল করেছিলেন।
✅ ইরানের সঙ্গে মার্কিন প্রতারণার ইতিহাস রয়েছে—ম্যাকফারলেনের গোপন তেহরান সফর থেকে শুরু করে ইরাকে, আফগানিস্তানে ও বসনিয়ায় বিভিন্ন ইস্যুতে ওয়াশিংটন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।
📌 সমস্যা সমাধানের বদলে শাসন পরিবর্তনের চেষ্টা
➡️ ২০২২-২৩ সালের ইরানি বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার বদলে ইরানের সরকার পরিবর্তনের কথা বলেছে।
➡️ ওয়াশিংটন ও ইউরোপীয় দেশগুলো আলোচনার দাবি করলেও বাস্তবে তারা ইরানে অস্থিরতা উসকে দিয়েছে।
📌 কৌশলগত চাপে ফেলার পরিকল্পনা
➡️ সামরিক হুমকি, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক চাপ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার নামে ইরানকে কোণঠাসা করতে চায়।
➡️ ট্রাম্প শান্তির বার্তা দিলেও আসলে তিনি ইরানের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছেন।
📌 ইরানের বিকল্প কৌশল
➡️ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা না করলেও ইরান চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাবে।
➡️ আসন্ন ইউরোপীয় বৈঠক ও চীন-রাশিয়ার সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ ইরানের কূটনৈতিক সদিচ্ছার প্রমাণ।
ট্রাম্প প্রশাসনের শান্তি আলোচনার দাবি আসলে ইরানকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা। ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে কৌশলগত মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে।
📌 (সূত্র: বার্তা সংস্থা মেহের, মোহসেন পাকাইন)
মন্তব্য করুন