সাধারণত আমরা মনে করি, অবসাদ হলে খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়, এনার্জি থাকে না, অনীহা তৈরি হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, অবসাদ খাওয়ার ইচ্ছা বাড়িয়েও দিতে পারে!
স্লিম, সুন্দর ও স্মার্ট থাকার জন্য শর্করায় নিয়ন্ত্রণ আনতে চাইছেন, কিন্তু মিষ্টি বা ভাজাপোড়া খাবার দেখলেই হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন? সারাদিন লুচি-পরোটা-কচুরি, নুডলস, ফুচকা বা আলুভাজার মতো খাবার খেতে ইচ্ছে করছে? এমন হলে বিষয়টি সাধারণ প্রবৃত্তির চেয়ে জটিল হতে পারে।
একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা মানসিক অবসাদের উপসর্গও হতে পারে।
জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নিলস ক্রিমার ও তার সহকর্মীরা ১১৭ জনের ওপর পরীক্ষা চালান।
তাদের খাবারের পছন্দ-অপছন্দ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়:
অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তিরা সাধারণত বেশি খেতে চান না, তবে শর্করা ও স্নেহপদার্থযুক্ত খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেশি থাকে।
প্রোটিন বা ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবারের প্রতি তাদের আগ্রহ কম।
মিল্ক চকলেটের মতো উচ্চ শর্করাযুক্ত খাবারের প্রতি তাদের বেশি ঝোঁক দেখা গেছে।
গবেষক লিলি থর্ন বলেছেন, শর্করা খাওয়ার ইচ্ছা অবসাদের মাত্রার ওপর নির্ভর করতে পারে। বিশেষ করে যারা উদ্বেগে ভোগেন, তাদের মধ্যে শর্করাযুক্ত খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেশি দেখা যায়।
গবেষকরা মনে করছেন, এই তত্ত্ব ভবিষ্যতে মানসিক অবসাদের চিকিৎসায় নতুন পথ দেখাতে পারে।
অবসাদ থাকলে বা উদ্বিগ্ন অনুভব করলে শর্করাজাতীয় খাবার বেশি খেতে ইচ্ছে করতেই পারে। কিন্তু এটি সাময়িক স্বস্তি দিলেও দীর্ঘমেয়াদে ওজন বৃদ্ধি, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ও আরও স্বাস্থ্যগত সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
নিজের মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম, ব্যায়াম ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।
প্রয়োজনে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
মন্তব্য করুন