বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ আরও তীব্র হচ্ছে। এরই মধ্যে মার্কিন পণ্যের ওপর চীনের আরোপিত আমদানি কর আজ (সোমবার) থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের চীনা পণ্যের ওপর ১০% শুল্ক আরোপ করে।
এর পাল্টা জবাব হিসেবে চীন ৪ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা দেয়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক বসাবে।
এদিকে, রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ২৫% শুল্ক আরোপ করা হবে, যা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হতে পারে।
কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) – ১৫% শুল্ক
অপরিশোধিত তেল, কৃষি যন্ত্রপাতি ও বড় ইঞ্জিনের গাড়ি – ১০% শুল্ক
২৫ ধরনের বিরল ধাতব পদার্থ – শুল্ক নিয়ন্ত্রণ আরোপ (যা বৈদ্যুতিক পণ্য ও সামরিক সরঞ্জামের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়)
ট্রাম্প এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের বলেন,
“আমি আরও কিছু দেশের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছি। তবে কোন কোন দেশ এর আওতায় আসবে, তা এখনই বলছি না।”
তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) পণ্যের ওপর শিগগিরই শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দেন, তবে যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে আলাদা চুক্তির সম্ভাবনার কথা জানান।
চীনা কর্তৃপক্ষ গুগলের বিরুদ্ধে অ্যান্টি-মনোপলি তদন্ত শুরু করেছে।
ডিজাইনার ব্র্যান্ড ক্যালভিন ক্লেইন ও টমি হিলফিগারের মূল কোম্পানি PVH-কে “অবিশ্বস্ত সংস্থা” তালিকাভুক্ত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতিকে “বৈষম্যমূলক ও সুরক্ষাবাদী” উল্লেখ করে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (WTO) অভিযোগ দায়ের করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, WTO এখনও কার্যকর প্যানেল গঠন করতে পারেনি, ফলে চীনের অভিযোগের নিষ্পত্তি হতে দেরি হতে পারে।
ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আলোচনায় বসতে পারেন। তবে ট্রাম্প বলেছেন,
“এই বিষয়ে আমার কোনো তাড়া নেই।”
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তিনি চীনের ক্ষুদ্র প্যাকেজের ওপর আরোপিত শুল্ক সাময়িকভাবে স্থগিত করেন।
৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত ১০% শুল্ক কার্যকর করেছিল, যা এখন স্থগিত রাখা হয়েছে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্য দ্বন্দ্ব আরও বাড়তে পারে।
নির্বাচনের আগে ট্রাম্প তার শুল্ক নীতিকে কার্যকর করে ভোটারদের কাছে প্রতিশ্রুতি রক্ষার বার্তা দিতে চাইছেন।
চীন পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ায় বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে, যা বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে।
মন্তব্য করুন