বেশ কিছুদিন শিথিল থাকার পর আবারও বাড়ছে ঢাকা-দিল্লি কূটনৈতিক টানাপোড়েন। ভারতে অবস্থান করে রাজনৈতিক ভাষণ দেওয়ায় বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় হাইকমিশনার পবন বাধেকে তলব করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘বানোয়াট ও উসকানিমূলক’ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানায় ঢাকা। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর ফেসবুক লাইভে দেওয়া বক্তৃতায় শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘মৃতদেহের ওপর দিয়ে হেঁটে ক্ষমতা দখলের’ অভিযোগ তোলেন। এতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তার এই বক্তব্যের পর শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ ও হতাশা’ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, ভারতে অবস্থান করে শেখ হাসিনার এই বক্তব্য দুই দেশের সুসম্পর্কের জন্য ‘ক্ষতিকর’। বাংলাদেশ ভারতকে আহ্বান জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে তার ‘মিথ্যা ও উসকানিমূলক’ বিবৃতি বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে।
ভারত মুজিব স্মৃতি জাদুঘরে হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং একে ‘ভাংচুর’ বলে আখ্যায়িত করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, “যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাসকে মূল্যায়ন করে, তারা এই বাড়ির গুরুত্ব বোঝে।”
এদিকে বিএনপি বিরল ঐক্য প্রদর্শন করে এই ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা জানিয়েছে। দলটির মতে, “এই ঘটনাগুলোর উদ্দেশ্য গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা, যা দেশে বিশৃঙ্খলা বাড়াতে পারে এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারে।”
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, “ভারত কী পদক্ষেপ নেয়, আমরা তা পর্যবেক্ষণ করব।”
মন্তব্য করুন