মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদেও চীনের বিরুদ্ধে আগ্রাসী শুল্কনীতি বজায় রেখেছেন। সম্প্রতি চীনের ওপর ১০% অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে তার প্রশাসন, যা বাণিজ্য উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
চীন জানিয়েছে, বাণিজ্য যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হয় না। বিশ্লেষকরাও একমত যে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ উভয় দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে চীন বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে পারে:
✅ গুরুত্বপূর্ণ খনিজের ওপর শুল্ক বাড়ানো বা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ:
চীন এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজের সরবরাহ কমিয়ে দিতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
✅ মার্কিন কোম্পানির বাজার সীমিত করা:
চীন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসাগুলোর ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, যাতে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো চীনের বিশাল বাজারে সুবিধা না পায়।
✅ ইউয়ানের অবমূল্যায়ন:
চীন যদি তাদের মুদ্রা ইউয়ানের মান কমিয়ে দেয়, তবে শুল্কের নেতিবাচক প্রভাব অনেকটাই প্রশমিত হতে পারে।
✅ যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য, অটো পার্টস ও বিদ্যুতের ওপর পাল্টা শুল্ক:
বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে নির্দিষ্ট মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করতে পারে, বিশেষ করে কৃষিপণ্য ও শিল্প খাতে।
ট্রাম্প শুধু ১০% শুল্ক আরোপ করেই থেমে নেই। তিনি ইতোমধ্যে চীনের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে আরও বড় পরিসরে গবেষণা শুরু করেছেন।
📌 ১ এপ্রিলের মধ্যে একটি গবেষণা প্রতিবেদন তার কাছে পৌঁছাবে, যার ভিত্তিতে চীনের ওপর দ্বিতীয় দফার শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রথম দফার শুল্ক বৃদ্ধির পর চীন যদি কোনো পদক্ষেপ না-ও নেয়, দ্বিতীয় দফায় তাদের কিছু না কিছু করতেই হবে।
চীন হয়তো শুরুতে ট্রাম্পের শুল্কনীতিকে এড়িয়ে যেতে চাইবে, কিন্তু যদি শুল্ক বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকে, তবে চীন পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। এতে উভয় দেশের অর্থনীতি আরও চাপে পড়বে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়বে।
মন্তব্য করুন