তিন দফা দাবিতে দেশজুড়ে সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার রাতে আন্দোলনরত প্ল্যাটফরম ‘প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন’ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান, পরীক্ষা ও অন্যান্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়েও সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন। ফলে বিভিন্ন বিভাগের শ্রেণিকক্ষ ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, ঢাকায় প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার না হওয়া এবং তাদের উত্থাপিত সব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।
এর আগে বুধবার সকাল ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। পরে দুপুরে তারা প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’র উদ্দেশ্যে রওনা হলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ও লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এতে বহু শিক্ষার্থী আহত হন।
পরবর্তীতে বিকেল সাড়ে ৫টায় শিক্ষার্থীরা আবারও শাহবাগে সমবেত হন এবং রাত সাড়ে ১০টার দিকে দেশজুড়ে সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে সেখান থেকে সরে যান।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি
১. নবম গ্রেডের সহকারী প্রকৌশলী পদে কেবল পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে এবং ন্যূনতম যোগ্যতা হতে হবে বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং।
২. দশম গ্রেডে বর্তমানে শুধু ডিপ্লোমাধারীরা আবেদন করতে পারেন; সেখানে উচ্চ ডিগ্রিধারীদেরও আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।
৩. কেবল বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীরাই ‘প্রকৌশলী’ বা ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবেন—এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
মন্তব্য করুন