যুক্তরাষ্ট্রে ছয় হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে আইন ভঙ্গ এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করাসহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) পররাষ্ট্র দফতরের একজন কর্মকর্তা এমন তথ্য জানান।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ফক্স ডিজিটালের প্রতিবেদনে প্রথম প্রকাশিত এই পদক্ষেপটি এসেছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন তার অভিবাসন দমন অভিযানের অংশ হিসেবে ছাত্র ভিসার প্রতি বিশেষভাবে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া যাচাই-বাছাই কঠোর করেছে এবং স্ক্রিনিং সম্প্রসারণ করেছে।
এছাড়া এই বছর পররাষ্ট্র দফতরের নির্দেশনায় মার্কিন কূটনীতিকদের এমন যেকোনো আবেদনকারীর বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাদেরকে ওয়াশিংটন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন এবং যাদের রাজনৈতিক সক্রিয়তার ইতিহাস রয়েছে।
কর্মকর্তা আরও জানান, আইন ভঙ্গের কারণে প্রায় ৪,০০০ ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মদ্যপান ও মাদক সেবন করে গাড়ি চালানো এবং চুরি করার অভিযোগও আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
সন্ত্রাসবাদের জন্য প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ ভিসা বাতিল করা হয়েছে বলে কর্মকর্তা বলেন।
যে সকল শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে তারা কোন কোন গোষ্ঠীর সমর্থনে ছিল তা কর্মকর্তা বলেননি।
এদিকে, গাজা যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনি অধিকারের পক্ষে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকটি শীর্ষ-স্তরের মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়েছেন।
অভিযোগ করেছেন যে তারা ইহুদি-বিদ্বেষের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। হার্ভার্ডের সাথে দ্বন্দ্বেও তহবিল বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, তিনি শত শত, সম্ভবত হাজার হাজার লোকের ভিসা বাতিল করেছেন, যাদের মধ্যে শিক্ষার্থীও রয়েছে। কারণ তারা এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন যা তিনি বলেছিলেন যে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির অগ্রাধিকারের বিরুদ্ধে ছিল।
মন্তব্য করুন