রাজশাহীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তার মোস্তাসেরুল আলম অনিন্দ্য এবং তার দুই সহযোগী রবিন ও ফয়সালের পাঁচদিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেছে আদালত। রোববার (১৭ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ হাজার করে সাতদিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানী শেষে বিচারক মামুনুর রশিদ তাদের পাঁদনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন।
দুপুর সোয়া ২টার মিনিটে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে তাদের আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের মামলাটি দায়ের করেন এসআই রেজাউল করিম। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মোতালেব হোসেনকে।
শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে নগরীর কাদিরগঞ্জ ডক্টর ইংলিশ কোচিং সেন্টারে অভিযান চালায়। এসময় অনিন্দ্যসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোচিং সেন্টার থেকে উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, সামরিক মানের দূরবীন, জিপিএস, স্নাইপার স্কোপ, দেশীয় অস্ত্র, বিদেশি ধারালো ডেগার, উন্নতমানের ওয়াকিটকি সেট, টিজার গান, অব্যবহৃত সিমকার্ড, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, কম্পিউটার, দেশি-বিদেশি মদ ও নাইট্রোজেন কার্টিজ।
২০১৬ সালের এপ্রিলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ড এবং একই বছরের জুলাইয়ে গুলশানের হলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন জঙ্গি হিসেবে অনিন্দ্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তিনি ওই দুটি মামলা থেকে রেহাই পান।
মন্তব্য করুন