উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে লালমনিরহাটে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চলে ঢুকছে পানি।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকাল ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২দশমিক ১৩সেন্টিমিটার এর আগে দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২.১৫ মিটার), যা বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কাউনিয়া পয়েন্টে পানির সমতল ২৮.৮৮ মিটার (বিপদসীমা ২৯.৩০ মিটার) যা বিপদসীমার ৪২ সে.মি নিচে।
পাটগ্রাম পয়েন্টে পানির সমতল ৫৭. ৫২ মিটার, বিপদসীমা ৬০. ৩৫ মিটার যা বিপদসীমার ২৮৩ সে.মি নিচে।
জানা গেছে, সকাল ৯টা থেকে উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়ে দুপুর ১২টায় বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন।
এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮-১০টি চর, পাটগ্রাম উপজেলা দহগ্রাম, আদিতমারী উপজেলা চর গোবর্ধন, মহিষখোঁচা এবং সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের চর এবং নিম্নাঞ্চলের এলাকাগুলোয় পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টের পানির লেভেল পরিমাপক নুরুল ইসলাম বলেন, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার নিম্নাঞ্চলের মানুষকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।আগামী দুইদিন তিস্তার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
মন্তব্য করুন