রংপুরে গণঅধিকার পরিষদের জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২১ জুলাই ১ বছর মেয়াদের এই আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় জিওপি।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সাক্ষরিত এ কমিটিতে শেরে-এ খোদা আসাদুল্লাহ কে সভাপতি, তোফায়েল আহমেদ তুষার কে সাধারণ সম্পাদক ও রুবেল হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৮৭ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়।
নব গঠিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল হোসেন বলেন, এই সংগঠনের মূল আদর্শ হলো—শিক্ষা, অধিকার, ন্যায়বিচার এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। আমরা রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে ছাত্র সমাজের সমস্যা, নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে কাজ করে যাচ্ছি।রংপুর জেলার নবগঠিত কমিটিও সেই সংগ্রামী ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় গড়ে উঠেছে। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সকল সদস্যগণ শৃঙ্খলা, আন্তরিকতা ও দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ করে রংপুরের ছাত্র সমাজের ন্যায্য অধিকার আদায়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবেন।”
সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ তুষার বলেন, “২০১৮ সালে ভিপি নুরুল হক নুর ভাইয়ের নেতৃত্বে “কোটা সংস্কার আন্দোলন”-এর মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে গণঅধিকার আন্দোলন। সেই ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলন ছিল বৈষম্য, অনিয়ম ও শোষণের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের এক সাহসী অবস্থান। সেই আন্দোলনের পথ ধরে গড়ে ওঠে “গণঅধিকার পরিষদ” – একটি অরাজনৈতিক, ছাত্রভিত্তিক, অধিকার-সংগ্রামী প্ল্যাটফর্ম।
রংপুর জেলা শাখার নবগঠিত এই কমিটিও সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ন্যায়, অধিকার ও সত্যের পথে অগ্রসর হওয়ার প্রত্যয়ে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
সভাপতি শেরে-এ খোদা আসাদুল্লাহ বলেন, “এই কমিটি গঠনের মাধ্যমে আমাদের সংগঠন নতুন প্রাণ ও গতি লাভ করেছে। গণঅধিকার পরিষদ একটি গণতান্ত্রিক, সংগঠন। আমরা বিশ্বাস করি, সততা, শৃঙ্খলা ও সাহসিকতার মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব। আমি আশা করি, নবগঠিত এ কমিটির সকল সদস্যগণ দায়িত্ববোধ, আন্তরিকতা এবং আদর্শিক অবস্থানে থেকে রংপুর জেলার ছাত্র সমাজের কল্যাণে কাজ করে যাবেন। আমরা সকলে মিলে একটি সমঅধিকারের সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।”
মন্তব্য করুন